এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১

বিদ্যাসাগর এবং মুহম্মদের মধ্যে পার্থক্য :

 


বিদ্যাসাগর যখন বিধবা বিবাহের প্রচলন করার চেষ্টা করেন, তখন বহু লোক তার সমালোচনা করেছিলো, কেউ কেউ তাকে আক্রমন করে খুন করার পরিকল্পনাও করেছিলো, যে কারণে নিরাপত্তার জন্য বিদ্যাসাগরের পিতা বিদ্যাসাগরের জন্য একজন লাঠিয়াল নিযুক্ত করেছিলো, কিন্তু সে সব জানার পরও বিদ্যাসাগর কারো উপর কোনো প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেন নি ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও। একইভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠার সময় বহু লোক মুহম্মদেরও সমালোচনা করেছিলো এবং তাকে খুন করার চেষ্টা করেছিলো, কিন্তু পরে মুহম্মদ যখন ক্ষমতাবান হয়েছে, যারা তার সমালোচনা বা বিরোধিতা করেছিলো, তাদের সবাইকে কচুকাটা করেছিলো, তার অনুসারীদের মাধ্যমে।

এখন চিন্তা করেন, কে বেশী দয়ালু ?

এবার আসি বিধবাকে বিবাহ প্রসঙ্গে।

বেদে যেহেতু বিধবাদের পুনঃবিবাহের বিধান আছে, সেহেতু এটা নিশ্চিত যে সনাতনী সমাজে বিধবা বিবাহের প্রচলন বৈদিক সভ্যতা থেকেই ছিলো। কিন্তু মাঝখানে বেদের পঠন পাঠন কমে যাওয়ায় বা না হওয়ায় সাধারণ হিন্দুরা তা ভুলে গিয়েছিলো, যে কারণে হিন্দু সমাজ থেকে বিধবা বিবাহ উঠে গিয়েছিলো। তাহলে পৃথিবীতে বিধবা বিবাহের প্রবর্তক কে- আপনার নবী, না বৈদিক যুগের মুনি ঋষিরা ?

আবার যা হোক, বিধবা বিবাহের আইন পাশের পর ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর নিজে কোনো বিধবাকে বিয়ে করেন নি; কারণ, তিনি ছিলেন বিবাহিত, ঘরে তার একজন স্ত্রী ছিলো। এই অবস্থায় অন্য একজনকে বিবাহ করা মানে সুখের ঘরে আগুন লাগানো, যেটা বিদ্যাসাগর চান নি এবং এই ঘটনার মাধ্যমে নারী জাতির প্রতি বিদ্যাসাগরের নিদারুন সহানুভূতির ঘটনা ই প্রকাশ পায়। নিজে কোনো বিধবাকে বিবাহ না করলেও তার ছেলের সঙ্গে এক বিধবার বিয়ে দিয়ে সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। নিজের স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও আরো একজনকে বিবাহ করে নিজের কামুকতার পরিচয় দেন নি।

অন্যদিকে মুহম্মদ, বিধবা খাদিজাকে বিবাহ করেছিলো সম্পূর্ণ ধন সম্পত্তির লোভে। বিধবাকে বিবাহ করে যদি বিধবাদেরই সামাজিক পুনর্বাসন মুহম্মদের ইচ্ছে ছিলো, তাহলে সে আলীর বোন উম্মে হানিকে বিয়ে করতে চেয়েছিলো কেনো ? আর সেই সময় আরব্য সমাজে বিধবা বিবাহ নতুন কিছু ছিলো না, সেখানে প্রায় সব বিধবাদেরই পুনঃবিবাহ হতো, এমনকি মুহম্মদ যেই খাদিজাকে বিয়ে করেছিলো, সেই খাদিজারও আগে দুই বার বিয়ে হয়েছিলো, তাহলে মুহম্মদ কিভাবে বিধবা বিবাহের প্রবর্তক হয় ? মুহম্মদ আরব্য সমাজেও বিধবা বিবাহের প্রবর্তক নয়, তার জন্মের অন্তত ৭/৮ হাজার বছর আগের বেদ রচয়িতা ঋষিরাই ছিলেন পৃথিবীতে বিধবা বিবাহের প্রকৃত প্রবর্তক।

যা হোক, এছাড়াও খাদিজার মৃত্যুর পর মুহম্মদ একের পর এক বিধবাকে বিয়ে করে সবাইকে সতীনের সংসারে ফেলে এক বিভীষিকাময় নরক যন্ত্রণায় ফেলেছিলো, এটাকে কি কোনো ভাবে নারীদের প্রতি ভালো কোনো ব্যবস্থা বলা যায় ? বিধবা হোক বা সধবা হোক, একের পর এক নারীকে বিয়ে করে নিজের বাড়িকে মিনি পতিতালয় বানানো নিজের কামুকতারই পরিচয়, যে পরিচয় মুহম্মদ দিয়েছিলো, কিন্তু বিদ্যাসাগর নয়।

বিদ্যাসাগরের সাথে মুহম্মদের তুলনা করা মানে মধুর সাথে মল এর তুলনা করা, যে মলকে সবাই ঘৃণায় ত্যাগ করে, যা দেখলে মানুষ নাক বন্ধ করে বা নাক ঢেকে দূরে সরে যায়, কিন্তু মধুকে সবাই পছন্দ করে। বাস্তবে মানব সভ্যতায় বিদ্যাসাগর এবং মুহম্মদের অবস্থান ঠিক এরকম, তাই মুহম্মদকে যারা পছন্দ করে, তারা সভ্য মানব নয়, অসভ্য অমানুষ; কারণ, তাদের পছন্দের কারণ হলো মুহম্মদের সুপারিশে আল্লার পতিতালয় বেহেশতের ৭২ কে দোচা; যাদের ধর্ম পালনের মূল উদ্দেশ্য বেহেশতী ৭২ হুরের সাথে শোয়া, তারা কোন মাপকাঠিতে সভ্য, বলেন ?

জয় হিন্দ।

(collected)