এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৯

বৃহদারণ্যক উপনিষদের ৬।৪।১৮ নিয়ে এ শঙ্কা

বৃহদারণ্যক উপনিষদের ৬।৪।১৮ কন্ডিকা নিয়ে একটা শঙ্কা আমাদের সামনে প্রায়শই উঠে। শঙ্কটা এরূপ যে, বিদ্বান পূত্র লাভের জন্য স্বামী স্ত্রী উভয়ে বৃষের মাংস দ্বারা পাককৃত অন্ন আহার করবে। প্রায় সব অনুবাদক এমনটাই অনুবাদ করেছে। অর্থাৎ ইহা দ্বারা সনাতন ধর্মে গোমাংস খাওয়ার বিধান সিদ্ধ এমনটা দাবী করে অপপ্রচারকারীরা।  মূলত আমাদের ধর্মের মূল স্রোত হলো বেদ। বেদের জ্ঞান দ্বারাই পরবর্তিতে অনেক শাস্ত্র রচিত হয়েছে। সেই বেদে আমরা গোহত্যার বিরুদ্ধে স্পষ্ট প্রমাণ পাই। গো হত্যা সমন্ধ্যে বেদ বলছে যে, "মা গাম অনাগাম অদিতিম বধিষ্ট" (ঋগবেদ ৮।১০১।১৫) অর্থাৎনিরপরাধ গাভী এবং ভূমিতূল্য গাভীকে কখনো বধ করো না। শুধু তাই নয় গোহত্যাকারীকে দন্ডের বিধান দিয়ে বেদ বলছে যে -যদি আমাদের গাভীকে হিংসা কর যদি অশ্বকে যদি মনুষ্যকে হিংসা কর তবে তোমাকে সীসক দ্বারা বিদ্ধ করিব। (অথর্ববেদ ১।১৬।৪)। বিস্তারিত এখানে পড়ুন - http://back2thevedas.blogspot.in/2016/11/blog-post.html?m=1
উপনিষদ বেদের অংশ হওয়ার হেতু উপনিষদে গোমাংস আহারের নির্দেশ কদাপি থাকতে পারে না। আমাদের স্থুল বিচার বিবেচনার জন্যই মূলত এরূপ শঙ্কার উদ্ভব হয়েছে। আসুন বিষয়টি নিয়ে একটু বিস্তারিত বিশ্লেষন করা যাক -


অথ য ইচ্ছেৎ পুত্রো মে পন্ডিতো বিজিগীতঃ সমিতিঙ্গমঃ শুশ্রুষিতাং বাচ্য ভাষিতা জায়েত সর্বাণ বেদাননুববীত সর্বমায়ুরিয়াদিতি মাষৌদনং পাচয়িত্বা সর্পিষ্মন্তমশ্নীয়াতামীশ্বরৌ জনয়িতবা ঔক্ষেণ বার্ষভেণ বা।।
(বৃহঃ উপঃ ৬।৪।১৮)
.
শব্দার্থঃ (অথ যঃ ইচ্ছেত্ পুত্রঃ মে) এবং যে এই ইচ্ছা করে যে আমার পুত্র (পন্ডিতঃ) বিদ্বান (বিজিগীথঃ) প্রসিদ্ধ (সমিতিয় গমঃ) সভায় গমন যোগ্য (শুশ্রুষিতাম বাচম্ ভাষিতা) আদরের সহিত শ্রবণ যোগ্য ভাষনকারী (জায়েত) হবে (সর্বাণ বেদাননুববীত সর্বম্ আয়ু ইয়াত্ ইতি) সমস্ত বেদের জ্ঞাতা পূর্নায়ুর উপভোক্তা হবে তো (মাষৌদনম্) [পাঠভেদ - মাংসৌদম্] মাষের [কলাই বিশেষ] সাথে চাউল (পাচয়িত্বা সর্পিষ্মন্তম্ অশ্নীয়াতাম্ ইশ্বরী জনয়িতবৈঃ) পাক করে ঘৃতের সাথে উভয়ে [স্বামী স্ত্রী] আহার করে তো (অপেক্ষেত পুত্র) পুত্র উৎপন্ন করতে সমর্থ হবে (ঔক্ষেণ বা আর্ষভেণ) ঔক্ষ [বিধি] দ্বারা অথবা ঋষভ [বিধি] দ্বারা। 
.
সরলার্থঃ এবং যে এই ইচ্ছা করে যে আমার পুত্র বিদ্বান প্রসিদ্ধ সভায় গমন যোগ্য আদরের সহিত শ্রবণ যোগ্য ভাষনকারী হবে, সমস্ত বেদের জ্ঞাতা পূর্নায়ুর উপভোক্তা হবে তো মাষের [কলাই বিশেষ] সাথে চাউল পাক করে ঘৃতের সাথে উভয়ে [স্বামী স্ত্রী] আহার করে তো পুত্র উৎপন্ন করতে সমর্থ হবে ঔক্ষ [বিধি] দ্বারা অথবা ঋষভ [বিধি] দ্বারা

তাৎপর্যঃ এই কন্ডিকার মধ্যে বর্ণিত পুত্র প্রাপ্তির জন্য বলা হয়েছে যে, মাষের সাথে পাককৃত চাউল বিধির সাথে আহার করা উচিৎ। এই পুত্র এবং পুত্রি উৎপন্ন করার জন্য অপেক্ষিত সাধনের কাজে নেবার শিক্ষাকে সমাপ্ত করে ইহা বলা হয়েছে যে, সব প্রকারে পুত্র কে উৎপন্ন করা আদির কৃত্য ঔক্ষ এবং আর্ষভ বিধি দ্বারা করা উচিৎ।
.
ঔক্ষ বিধিঃ ঔক্ষ শব্দ উক্ষ (সেচনে) ধাতু হতে এসেছে। উক্ষ দ্বারা উক্ষণ এবং উক্ষণের বিশেষন ঔক্ষ। ঔক্ষ বিধি বর্ণনাকারী শাস্ত্রকে ঔক্ষ শাস্ত্র বলে। কোন মিশ্রিত ঔষধি পাক আদি তৈরীতে কোন কোন ঔষধি কি কি মাত্রায় পড়া উচিৎ তাহা বর্ণনাকারী শাস্ত্রের নাম ঔক্ষ শাস্ত্র। অভিপ্রায় এই যে, উপরিউক্ত মাষের অথবা তিলৌদন আদির প্রস্তুতে এই (ঔক্ষ শাস্ত্র) র মর্যাদা কে লক্ষ্য রেখে কাজ করা উচিৎ।
.
আর্ষভ বিধিঃ আর্ষভ - ঋষভ শব্দের বিশেষন। ঋষভ এবং ঋষি শব্দ পর্যায়বাচক। আর্ষভের অর্থ ঋষিকৃত অথবা ঋষিদের বানানো কিছু। ঔক্ষ শাস্ত্রের সাথে এই আর্ষভ শব্দের ভাব এই যে, ঋষিদের বানানো বিধি (পদ্ধতি) র নামই ঔক্ষ শাস্ত্র। অর্থাৎ কোন অনভিজ্ঞর বানানো বিধিকে ঔক্ষ শাস্ত্র বলা হয় না। ঋষিকৃত পদ্ধতিই ঔক্ষ শাস্ত্র।
.
মাষৌদনঃ যা বলা হয়েছিলো মাষৌদনে পাঠ ভেদ রয়েছে, অনেক গ্রন্থে মাংসৌদন। সিবায় মাংস শব্দের এরূপ অর্থ করেছে যে, (মনঃ সীদত্যস্মিন স মাংসঃ) যাহাতে মন প্রসন্ন হয় তাহাই মাংস। নিরুক্তেও মাংস শব্দের অর্থের মনন, সাধক, বুদ্ধিবর্ধক মন কে রুচি দানকারী বস্তুকে বলা হয়েছে। যা ফলের রসালো অংশ, ঘী, মাখন, ক্ষীর আদি পদার্থ (মাংস মাননং বা মানসং বা মনোস্মিনৎসীদতীতি ; নিরুক্ত ৪।৩)। এবং এই দৃষ্টি দ্বারা মাষৌদন কে মাংসৌদন বলা যায়। এই জন্য কোন প্রকরণে গো মাংস অর্থে মাংসের প্রয়োগ যা এই প্রকরনে নেই। এইজন্য যে দশ ঔষধিকে দ্বারা মাষ এবং ঔদন বর্ননার বিধান রয়েছে তাহার নাম স্বয়ং উপনিষদই উল্লেখ করেছে -
(i) ধান্য (ii) যব (iii) তিল (iv) মাষ (v) বাজরা (vi) প্রিয়জু (vii) গোধূম (viii) মসুর (ix) খল্ব (x) থলকুল।
(বৃহঃ উপঃ ৬।৩।১৩)
এখানে একটা বিষয়ে গভীর ভাবে মনোযোগ দেওয়া উচিৎ যে, এই ঔষধির গণনা করে দেখা যাচ্ছে তিলের পরেই মাষের উল্লেখ রয়েছে। এইজন্য সতেরো কন্ডিকায় তিলৌদন এবং তাহার পরে আঠারো কন্ডিকায় মাষৌদনের উল্লেখ। অন্যথা মাংসের তো এখানে যেমন বলা হলো তার কোন প্রকরনই নেই।

বাংলাদেশ অগ্নিবীর
সত্য প্রকাশে নির্ভীক সৈনিক
Raj Bhowmick  akash

বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৯

মুসলিমদের ১২টি প্রশ্নের দাত ভাঙ্গা জবাব



কিছু ভন্ড মুসলিম দের কমন ১২ টি প্রশ্ন:-
----------------------------------------
হিন্দু ভাইয়েরা মন খারাপ করবেন না.! :
আমি just জানতে চাই
:
যদি পারেন উত্তর দিবেন.
:
1st- শিব ৬০,০০০ বিবাহ করেছিল সে মারা
যাবার পর তার
লিঙ্গকে পূজা করা হয় কেন?
:
একজন শিষ্টাচার হিন্দু কোন যুক্তিকতায় তার।
:
স্ত্রী_দুধ দিয়ে শিবের গোপন_অঙ্গ ধৌত
করে কেন?
:
এটা কি কোন সৃষ্টিকর্তার বৈশিষ্ট্য.? : এমন কুরুচি পূর্ন আদেশ সৃষ্টিকর্তা দিতে পারেন.?
-
2nd- শিব তার নিজের ছেলে গনেশকে চিনতে পারেনি
কেন?
চিনতে না পারার জন্য ছেলের গর্দান_কেটে
ফেলেছিলেন.!
:
তাহলে তিনি তার সৃষ্টিকে কি করে চিনবেন.?
:
ভুলে যাওয়া কি সৃষ্টিকর্তার বৈশিষ্ট্য.?
_
3rd- দেবদাসীর ও যোগিনীর মত পতিতা
চরিত্রের সাথে
ভগবান ও ব্রাহ্মনগন কি অশ্লীলকর্মে লিপ্ত
হন.?
:
যদি তারা প্রকৃতার্থে ভগবান হয়ে থাকেন?
_
4th- অশ্লীল ভঙ্গিমায় উলঙ্গ_নারী ,,, মুখে
দাতেঁ রক্ত ও
হাতে রক্তাক্ত তলোয়ার.!
কি করে সৃষ্টিকর্তা হতে পারে.? উদাহরন-
দূর্গা।
_
5th- কৃষ্ণা যদি সৃষ্টিকর্তা হয়। তবে সে কেন তার মামীর সাথে অবৈধ_সম্পর্ক
রাখলো...?
:
তবে কি সৃষ্টিকর্তা মানুষের সাথে এমন
অবৈধ কর্মে লিপ্ত
হয় যা তারা নিজেরাই আইনের বর্হিভূত?
_
6th- কিভাবে রাম সৃষ্টিকর্তা হতে পারে.?
কারন,,,
সে প্রয়োজনে খাবার খেয়েছে, ঘুম গেছে,
অনেক বিয়ে করেছে, দৈহিক তারনায়, রাম
নিজের
স্ত্রীকে সন্দেহ করেছে.! এসবকি সৃষ্টিকতার কর্ম?
_
7th- যদি রাম সৃষ্টিকর্তাই হন তবে কেন তিনি হনুমানের সাহায্য চাইবেন.?
:
তাহলে কি সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতার কমতি আছে?
:
_
8th- রাম হনুমানের দু’ভাইকে কেন অকারনে
খুন করলেন.?
:
যেখানে রামের সাথে তাদের কোন শত্রুতা ছিল না?
:
সৃষ্টিকর্তা হয়ে অপরাধ করা কি সম্ভব? _
9th- রাবন যদি শয়তান হয়ে একদিনে লঙ্কায়
পৌছাঁতে পারে
তবে রাম সৃষ্টিকর্তা
হয়ে কেন ১২ বছর লাগলো.?
:
তাও আবার হনুমানের সাহায্যে? : শয়তানের শক্তি সৃষ্টির্কতা হতে কি করে
বেশি হওয়া সম্ভব?
_
10th- কৃষ্ণা একজন সৃষ্টিকর্তা হয়ে কি ভাবে নারীদের স্নানরত_দৃশ্য উপভোগ করেন.?
:
ও তাদের পোষাক_ লুকিয়ে রেখে দেন? _
11th- গরু হিন্দুদের মা, গরুর পেট থেকে তো
গরুর_বাচ্চা হয়.!
কিন্তু
মানুষের_বাচ্চা তো হয় না.?
:
তাহলে গরু কি করে মানুষের মা হয়? - 12th- আপনি যাকে বানিয়েছেন সে বড়?
নাকি আপনাকে
যে বানিয়েছে সে বড়? উদাহরনঃ মুর্তি
:
একটু বিবেক দিয়ে চিন্তা করুন কে বড়! যদি
জানা থাকে
জানাবেন কিন্ত... আমি কিন্তু ধর্ম নিয়ে
বাড়াবাড়ি

এই ১২ টি প্রশ্নের দাঁত ভাঙ্গা জবাব,,,,,
★প্রশ্ন১।শিব ৬০,০০০বিবাহ করেছিল সে মারা যাবার পর তার লিঙ্গকে পূজা করা হয় একজন শিষ্টাচার হিন্দু কোন যুক্তিকতায় তার স্ত্রীকে দিয়ে দুধ দিয়ে শিবের গোপন অঙ্গ ধৌত করে? এটা কি সৃষ্টিকর্তার বৈশিষ্ট্য? এমন কুরুচিপূর্ন আদেশ সৃষ্টিকর্তা দিতে পারেন? উত্তরঃ শিব ৬০০০০ বিয়ে করেছিল এটা নিতান্তই হাস্যকর কথা। এরকম কথা কোথাও পাওয়া যায়নি। এটা ভিত্তিহীন।পারলে প্রমান দেখান।আমরা চিরকাল জেনে এসেছি শিব এর স্ত্রী দুর্গা বা পার্বতী। আর শিবলিংঙ্গ মানে যৌনাঙ্গ যে এই কথাটি লিখেছেন সে সংস্কৃত ভাষা সম্পর্কে কোন জ্ঞান রাখেন না। শিব সংস্কৃতে शिव, siva যার বাংলা অর্থ শুভ বা মঙ্গল আর লিংঙ্গ অর্থ প্রতিক বা চিন্হ যার সম্পুর্ন অর্থ হচ্ছে সর্বমঙ্গলময় বিশ্ববিধাতার প্রতীক। আবার ব্যাকারনে যেটা পুরুষ বোঝায় তাকে পুঃলিংঙ্গ, যেটা দ্বারা নারী বোঝায় তাকে স্ত্রীলিংঙ্গ,যেটা দ্বারা নারী পুরুষ উভয়ই হতে পারে তাকে উভয় লিংঙ্গ ও যেটা দ্বারা জর বস্তু বোঝায় তাকে ক্লীবলিংঙ্গ বলে, কোন ভাবেই এটা যৌন অঙ্গ’কে বোঝায় না, উধারনস্বরুপ চেয়ার দেখলে বুঝি এটা একটা জর বস্তু তাই এটিকে ক্লীবলিংঙ্গ বলা হয়, তেমনি ভাবে যে কালোপাথরটি (শিবলিংঙ্গ) দ্বারা আমরা শিবকে বুঝি, তাই ওটাকে আমরা শিবলিংঙ্গ বলি, ওটা শিবের প্রতিক, বাংলাদেশের প্রতিকি যেমন বাংলাদেশের পতাকা বহন করে, তেমনি শিবলিংঙ্গ শিবের প্রতিকি বহন করে,পতাকাকে স্যালুট করলে যেমন দেশকে সন্মান করা হয় তেমনি শিব লিংঙ্গের পুজা করলে শিবের পুজা করা হয়, আর একটা ভুল ধারনা আছে যে মেয়েরাই শুধু শিবলিংঙ্গের পুজা করে, এটা ঠিক নয়, ছেলেরাও করে! 
★ প্রশ্ন:২/­ : শিব তার নিজের ছেলে গনেশকে চিনতে পারেনি কেন? চিনতে না পারার জন্য ছেলের গর্দান_কেটে ফেলেছিলেন.! তাহলে তিনি তার সৃষ্টিকে কি করে চিনবেন.? ভুলে যাওয়া কি সৃষ্টিকর্তার বৈশিষ্ট্য.? উত্তর : সৃষ্টিকর্তা এমন না যে তার সৃষ্টিতে ঘটে যাওয়া বা ঘটবে এরুপ সম্পর্কে তিনি জানেন না। শিব তার ছেলেকে চিনবেন না এরুপ একটা কথা হাস্যকর ছাড়া আর কিছুইনা। *** চিনতে না পারার জন্য ছেলের গর্দান_কেটে ফেলেছিলেন কেন? এর উওর তো অবশ্যই পাবেন। ------------------------------­--- তবে এর উত্তর জানতে হলে প্রথমে জানতে হবে শিব ও গজাসুর সম্পর্কটা কি? #প্রথমত: পৌরাণিক কালে হাতির বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এক অসুরের অস্তিত্ব ছিল। তার নাম ছিল গজাসুর। সে একবার প্রচণ্ড তপস্যা করেছিল। শিব তার তপস্যার তুষ্ট হয়ে তাকে মনোমত বর দিতে ইচ্ছা করেন। অসুর চাইল, তার শরীর থেকে যেন সব সময় আগুন বেরিয়ে আসতে থাকে, যাতে কেউ তার কাছে ঘেঁষতে সাহস না পায়। শিব তাকে সেই বর দেন। কিন্তু গজাসুর তার তপস্যা চালিয়ে গেল। শিব আরেকবার তার সামনে এসে তাকে বর দিতে চাইলেন। অসুর বলল, “আমি চাই আপনি আমার পাকস্থলীতে বাস করুন।” অল্পে তুষ্ট ! শিব গজাসুরকে মনোমত বর দিয়ে দেন। কিন্তু এই বর অন্য সমস্যার সৃষ্টি করে। পার্বতী তাঁকে ( শিব) খুঁজতে বের হন। শেষে তিনি নিজের আরাধ্য বিষ্ণুর সাহায্যে শিবকে খুঁজে পান। বিষ্ণু তখন শিবের বাহন নন্দীকে এক নৃত্যকারী ষাঁড় বানিয়ে নিজে বাঁশিওয়ালার ছদ্মবেশ নেন। এরপর উভয় আসেন গজাসুরের কাছে বাঁশি বাজাতে। বিষ্ণুর বাঁশি শুনে গজাসুর খুশি হয়ে তাঁকে কিছু দিতে চাইল। বিষ্ণু বললেন, তাঁর গজাসুরের পাকস্থলীতে বন্দী শিবের মুক্তি চাই। সে বিষ্ণুকে চিনতে পেরে তাঁর পায়ে লুটিয়ে পড়ল শিব মুক্তি পেলেন। তখন গজাসুর তপস্যার শেষ বরটি চাইল। সে বলল, “আমি চাই, আমি মরে যাবার পরও যেন লোকে আমার মাথাটিকে পূজা করে।” #দ্বিতীয়ত : গণপতির জন্ম হয়ে ছিল দেবী পার্বতীর গায়ে মাখা হলুদ অর্থাৎ ময়লা থেকে। যার কারণে গণেশ ছিলেন জেদি ও অহংকারী। এক দিন দেবী পার্বতী কৈলাসে স্নান করছিলেন। স্নানাগারের বাইরে তিনি নন্দীকে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন, যাতে তাঁর স্নানের সময় কেউ ভিতরে ঢুকতে না পারে। এই সময় শিব এসে ভিতরে প্রবেশ করতে চান। নন্দী শিবের বাহন। তাই প্রভুকে তিনি বাধা দিতে পারলেন না। পার্বতী রেগে গেলেন। তিনি ভাবলেন, নন্দী যেমন শিবের অনুগত, তেমনই তাঁর অনুগত কোনো নেই। তাই তিনি তাঁর প্রসাধনের হলুদমাখা( বলতে পারেন ময়লা) কিছুটা নিয়ে গণেশকে সৃষ্টি করলেন এবং গণেশকে নিজের অনুগত পুত্র রূপে ঘোষণা করলেন। এরপর থেকে পার্বতী স্নানাগারের বাইরে গণেশকে দাঁড় করাতেন। একবার শিব এলেন। তিনি ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলেন। কিন্তু গণেশ তাঁকে বাধা দিলেন। শিব রেগে গিয়ে তাঁর ভক্তদের আদেশ দিলেন গণেশকে দাড় থেকে সরার জন্য । কিন্তু গণেশ শিব ভক্তদের উপর অনাক্রমণ করে তাদের পরাজিত করেন। তাই তিনি গণেশের সঙ্গে যুদ্ধ করতে এলেন। শিব গণেশের মুণ্ডটি কেটে তাকে হত্যা করলেন। একথা জানতে পেরে পার্বতীও রেগে সমগ্র সৃষ্টি ধ্বংস করে ফেলতে উদ্যোগী হলেন। তখন সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা তাঁর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করলেন। তখন পার্বতী দুটি শর্ত দিলেন। প্রথমত, গণেশের প্রাণ ফিরিয়ে দিতে হবে এবং সকল দেবতার পূজার আগে তাঁর পূজার বিধি প্রবর্তন করতে হবে। সর্বোপরি দেবী পার্বতী শর্ত , গজাসুকে দেওয়া কথার মান ও গণেশের অহংবোধ থেকে মুক্তি এবং সৃষ্টির ভারসাম্য রক্ষার জন্য গনেশের শিরোচ্ছেদ করা হয়েছিল । আরে শিব তো তার ছেলের গর্দান কেটেছিল সৃষ্টির মঙ্গলের জন্য । তাই তাকে নিয়ে অনেক, অনেক কিছু বল,তাই না। তোদের নবী ইব্রাহিম(আ) কি করে ছিল? সে কথা সবাই জানে, বড় ছেলে ইসমাঈল(আ)কে কুরবানীর নাম করে ইসহাক(আ)কে কুরবানী করে ছিল। তিনি ও পুত্র হত্যা করেছিলেন। কিন্তু সৃিষ্টির কল্যানের জন্য কি ? না। সিংহাসন লাভের জন্য। হায়রে নবীর বৈশিষ্ট্য slightgrin emoticon থাক ও সব কথা তোদের বেজন্মাদের ধর্ম যে কেমন আমাদের ভলো জানা আছে। আশা করি সকল হিন্দু ভাইয়েরা বুঝলেও ঐ সকল বেজম্মারা বুঝবে কি না সন্দেহ আছে। ধন্যবাদ heart emoticon জয় সনাতন 
★প্রশ্ন৩।দেবদাসীর ও যোগিনীর মত পতিতা চরিত্রের সাথে ভগবান ওব্রাহ্মনগন কি করে অশ্লীলকর্মে লিপ্ত হন? যদি তারা প্রকৃতার্থে ভগবান হয়ে থাকেন। উত্তরঃ এই কথাটার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ চাই। গীতা,বেদ,ভাগবত বা উপনিষদ কোথা থেকে পেয়েছেন?? 
★প্রশ্ন৪।অশ্লীল ভঙ্গিমায় উলঙ্গ নারী, মুখে ও দাতেঁ রক্ত ও হাতে রক্তাক্ত তলোয়ার কি করে সৃষ্টিকর্তা হতে পারে? উদাহরন- দূর্গা। উত্তরঃ দূর্গা কখন অশ্লীল হলেন সেটাই খুজে পেলাম না । আমরা জানি কোন শক্তিকেই কোন কিছু দ্বারা আবদ্ধ করে রাখা যায় না। আর দুর্গা হচ্ছেন এমনই এক শক্তি। অসুরদের দমন করার জন্য সে ১০ বাহুর রুপ ধারন করেছিলেন। 
★ প্রশ্ন ৫।কৃষ্ণা যদি সৃষ্টিকর্তা হয় তবে সে কেন তার মামীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক রাখলো? তবে কি সৃষ্টিকর্তা মানুষের সাথে এমন অবৈধ কর্মে লিপ্ত হয় যা তার নিজেরাই আইনের বর্হিভূত? উত্তরঃ কৃষ্ণ কখনই তার মামীর সাথে অবৈধ্য সম্পর্ক রাখে নি। আপনি মহাভারত থেকে এমন এক শ্লোক দেখান যেখানে রাধার সাথে অবৈধ্য সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে।
★প্রশ্ন৬।কিভাবে রাম সৃষ্টিকর্তা হতে পারে কারন সে প্রয়োজনে খাবার খেয়েছে, ঘুম গেছে, অনেক বিয়ে করেছে দৈহিকতারনায়, রাম নিজের স্ত্রীকে সন্দেহ করেছে এসবকি সৃষ্টিকতার কর্ম? উত্তরঃ রাম হচ্ছে ঈশ্বরের ৭ম অবতার।তিনি মানুষ রুপে পৃথিবীতে জন্মগ্রহন করেছিলেন। সুতরাং মানুষের মত কাজকর্ম রাম করেছিলেন কারন তিনি মানুষ কিন্তু ঈশ্বরের অবতার। শ্রীমদভগবত গীতার ৯:১১ তে ভগবান বলেছেনঃ আমি যখন মানুষ রুপে অবতীর্ন হই,মুর্খেরা আমাকে অবজ্ঞা করে তারা আমার পরম ভাব সম্বন্ধে অবগত হন না, এবং তারা আমাকে সর্বভূতের মহেশ্বর বলে জানে না।। অর্থাৎ ভগবান মানুষরুপে পৃথিবীতে অবতীর্ন হতে পারেন। কিন্তু আল্লাহ তা করতে পারেন না। আর রাম বহুবিবাহ করেননি।
★ প্রশ্ন৭।যদি রাম সৃষ্টিকর্তাই হন কেন তিনি হনুমানের সাহায্য চাইবেন? তাহলে কি সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতার কমতি আছে? উত্তরঃরাম মানবরুপে জন্মগ্রহন করেছেন তাই অন্যের সাহায্য চাওয়া একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। আর আল্লাহও কিন্তু জিবরাইলের সাহায্যে নবীর কাছে আয়াত পাঠিয়েছেন। তিনি নিজে এসে আয়াত পাঠাতে পারেন নি অথচ তিনি বলেছেন আমি সর্বশক্তিমান এটা হাস্যকর ছারা কিছুই না। 
★৮।প্রশ্নঃরাম হনুমানের দু’ভাইকে কেন অকারনে খুন করলেন যেখানে রামের সাথে তাদের কোন শত্রুতা ছিলনা? সৃষ্টিকর্তা হয়ে অপরাধ করা কি সম্ভব? উত্তরঃ রাম হনুমানের ভাইকে হত্যা করেননি। হত্যা করেছেন সুগ্রীবের ভাই বালিকে।কারণ বালি সুগ্রীরের স্ত্রীকে বন্ধি রেখেছিলো। 
★প্রশ্ন৯।রাবন যদি শয়তান হয়ে একদিনে লঙ্কায় পৌছাঁতে পারে তবে রামের সৃষ্টিকর্তা হয়ে কেন ১২ বছর লাগলো তাও আবার হনুমানের সাহায্যে? শয়তানের শক্তি সৃষ্টির্কতা হতে কি করে বেশি হওয়া সম্ভব? উত্তরঃরামকে লঙ্কা যেতে ১২ বছর লাগেনি।রাম ১৪ বছরের জন্য বসবাসে গিয়েছিলেন। শেষবর্ষে সীতা মাতার অপহরণ হয় ও শ্রী রাম সীতা’কে উদ্ধার করেন। দূর্গাপূজার ষষ্ঠী থেকে শুরু হয়ে বিজয়াতে রাম জয় লাভ করেন। ★ প্রশ্ন আল্লাহর বিশ্ব সৃষ্টি করতে ৬ দিন লাগে,, তাহলে মোহাম্মদের ওপর কোরান নাজিল করতে কেন ২৩ বছর সময় লাগলো? 
.
★প্রশ্ন১০। কৃষ্ণ একজন সৃষ্টিকর্তা হয়ে কিভাবে নারীদের স্নানরত দৃশ্য উপভোগ করেন ও তাদের পোষাক লুকিয়ে রেখে দেন? উত্তরঃআপনার কথার উৎস কি ?মহাভারত নাকি ভাগবত ?? দুই কবির,শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন আর মেঘনাদ বধ কাব্য(যেগুলোতে অনেক কাহিনী বিকৃত করে দেয়া)!! তা আপনি হাজার বছর আগের আসল বই মহাভারত,ভাগবত না পড়ে আপনি কয়েকটা বিকৃত বই পড়ে এই মন্তব্য করাটা কতটা যৌক্তিক?? শ্রীকৃষ্ণ তখন ১০বছরের কম বয়সের ।তখনকার সময় কিছু লোক সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে স্নান করত!যেটা পাপ। তাই শ্রীকৃষ্ণ তখন ওই মেয়েদের কাপড় চুরি করেন। পরবর্তীতে ওই মেয়েদের প্রতিজ্ঞা করান,যে তারা যেন আর সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে স্নান না করে,এটা পাপ। তাছাড়া শ্রীকৃষ্ণ নগ্ন হয়ে স্নান করায় দুই গাছরূপী (নন্দরাজের বাড়িতে)পাপী পুরুষকে তাদের শাস্তি ভোগার পর মুক্তি দেন।এ নিয়ে কাহিনী হলঃদুই পুরুষ একবার সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে স্নান করে তখন ওই দিক দিয়ে দেবর্ষি নারদ যান।তখন দেবর্ষি নারদ সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে স্নানের কারণে ওই পুরুষদেরকে গাছ হওয়ার অভিশাপ দেন।পরবর্তীতে ওই দুই পুরুষ গাছ হয়ে নন্দরাজের বাড়ির উঠানে জন্মেছিল এবং বহুকাল শাস্তি ভোগার পর শ্রীকৃষ্ণ তাদের মুক্তি দেন। এছাড়াও মহাভারতে দূর্যোধনকে মায়ের সামনে নগ্ন হয়ে যেতে নিষেধ করেন। 
★প্রশ্ন১১।গরু হিন্দুদের মা,গরুর পেট থেকে তো গরুর বাচ্চা হয় মানুষের বাচ্চা তো হয়না তাহলে গরুকি করে মানুষের মা হয়? উত্তরঃ গরু হিন্দুদের মা নয়। আমরা গরুকে মায়ের চোখে দেখি। আর গরু হিন্দুদের মা এটা কোন গ্রন্থে বলা আছে? প্রমাণ দিন।"" 
★প্রশ্ন:১২/- আপনি যাকে বানিয়েছেন সে বড়? নাকি আপনাকে যে বানিয়েছে সে বড়? উদাহরনঃ মুর্তি।। উওর: সৃষ্টিকর্তা বড়,,, আমাকে যে বানিয়েছে,,,,, আমরা ঈশ্বরকে বানাতে পারিনা,, তবে তার বিভিন্ন সকার রূপ এর প্রতিমা তৈরী করে,, ঈশ্বরের প্রতি মননিবেশ করে ঈশ্বকে ডাকি,, হিন্দুরা প্রতিমা পূজা করেনা,, প্রতিমার মাধ্যমে ঈশ্বরের ওপর মননিবেশ করে।
পাল্টা প্রশ্ন।---
প্রশ্ন : ১/ গনিমতের মাল কি? প্রশ্ন :
২/ ৭২ হূর এর কি,,, এটা কেন শুধু পুরুষরাই পাবে? ( সুনানে ইবনে মাজহা // হাদিস নং ৪৩৩৭) 
(সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৪২৪২) প্রশ্ন :৩/ উটের মুত খাওয়ার উপকারিতা কি? 
প্রশ্ন:৪ / কাবা শরিফে,, কালো পাথরকে কিস করার উপকারিতা কি এটা কিস করলে নাকি সকল পাপ নাশ হয়,,? 
প্রশ্ন :৫/ শয়তানের ঘরে পাথর মারার উপকারিতা কি? 
প্রশ্ন :৬/ আল্লাহর পৃথিবী সৃষ্টি করতে ৬ দিল লাগে আর কোরান নাজিল করতে ২৩ বছর লাগে,, এটা কি হাস্যকর নয়? 
প্রশ্ন:৭/ নিজের পুএ বধূকে বিবাহের বৈধতা কতটুকু?( সা:)
প্রশ্ন :৮/ ২৫ বছর বয়সে মোহাম্মদ তার মার বয়সি ৪০ বছরের খাদিজাকে বিয়ে করে ,, এর ব্যাখ্যা কি?
প্রশ্ন:৯/ ৬ বছরে আয়শাকে বিবাহ করে তাকে ধর্ষন এর,, মনবতা কি? 
প্রশ্ন:১০/ নারীর সন্মান কি? (কোরান ২/২২৩ এ বলা আছে নারী শষ্যখেত) 
প্রশ্ন:১১/ হিল্লা বিয়ে কি এর উপকারিতা কি? 
প্রশ্ন:১২ / ইসলামে,, পুরুষ এবং মহিলাদের অধিকার কেন সমান নয়? মহিলারা কেন মসজিদে নামাজ পড়তে পাড়বেনা,, একেমন ধর্ম,,যেখানে নারী পুরুষকে আলাদা ভাবা হয়?
প্রশ্ন:১৩/ আল্লাহ কেন আপনাদের জন্ম থেকে মুসলিম বানায়না তার কি এই ক্ষমতা নেই? তাহলল কেন আগা কাটা লাগে (খাৎতা)?
//
/
ক্ষমতা থাকলে আমার এই ১৩টা প্রশ্নের উওর দিন,,,, তার পর আরো প্রশ্ন করবো।
সত্যমেব জয়তে।
নমস্কার





" জীব সেবাই পরম ধর্ম''

সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৯

পুজা নিয়ে মুমিনদের চুলকানির জবাব

কিছুদিন ধরে ফেসবুকে হিন্দুদের পুজা নিয়ে মুমিনরা বেশি চুলকায়।তা নিয়ে বলব তার আগের বলতে চাই ইসলামে ত মদ হারাম কিন্তু বেহেশতে কেন মদের নদী আছে তাছাড়া আরবের সবাই বলে মদ্যপায়ী।।

https://www.be.bangla.report/post/37952-bJLGLRm0b

এমন কিছু তথ্য নেট এ পাওয়া যাবে।

তাছাড়া আপনাপরা যে হজ করেন তাতে কত
কোটি টাকা অপচয় হয় যাতে আরবের ইনকাম সোর্স বাহ তাছাড়া আপনারা যে এত এত টাকা খরচ করে গরু মহিষ কোরবানী
দেন তাতে কি টাকার অপচয় হয় না।
এখন বলবেন বলির কথা হে এটা কিছু হিন্দুরা দেয় তবে এতে যত খরচ তারচেয়ে বেশি



তাছাড়া আপনারা ইবলিশকে পাথর ছুড়ে 
মারেন।কেন ইবলিশকে ত বোম মারলেই
ত কেল্লাফতে।।
তাছাড়া পাথরকে চুমু খাওয়া ছ্যে এসব
আপনারা করলেই দোষ নাই আর আমরা
 পুজা করলেই দোষ বাহ বাহ তাছাড়া
পাথরকে চুমু খেলে গুনা মাফ বাহ বাহ।
এ হচ্ছে এসলাম 😁 






বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০১৯

মুমিনদের চুলকানি / হিন্দুধর্মে মলম

কাউন্টার পোষ্ট
হিন্দু ধর্মে পূজা নিষিদ্ধ। রেফারেন্স সহ প্রমান দিলামঃ
১. না তাস্তে প্রাতীমা আস্থি ( রীগ বেদ ৩২ অধ্যায় ৩ নং অনুচ্ছেদ )
অর্থাৎ ঈশ্বরের কোন প্রতি মূর্তি নেই ।
২. যারা নিজের বিবেক বুদ্ধি হারিয়েছে তাঁরাই মূর্তি পূজা করে ( ভগবৎ গীতা অধ্যায় ৭, অনুচ্ছেদ ২০ নম্বর ) ।
রেফারেন্স সহ দিলাম ।
৩. হিন্দুরা অনেক দেব দেবির পুজা করলেও হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ গুলোতে হিন্দুদের কেবল মাত্র এক জন ইশ্বরের উপাসনা করতে বলা হয়েছে॥
বেদের ‘ব্রহ্ম সুত্র’ তে আছে “একম ব্রহ্মা দ্বৈত্য নাস্তি নহিনা নাস্তি কিঞ্চন” অর্থাৎ ইশ্বর এক তার মত কেউ নেই কেউ নেই সামান্যও নেই । আরও আছে “সে একজন তারই উপাসনা কর” (ঋকবেদ ২;৪৫;১৬)।
“একম এবম অদ্বৈত্তম” অর্থাৎ সে একজন তাঁর মত আর দ্বিতীয় কেউ নেই (ঋকবেদ ১;২;৩) ।
“এক জনেই বিশ্বের প্রভু” (ঋকবেদ ১০;১২১;৩) ।
৪. হিন্দু ধর্মে মুর্তি পুজা করতে নিষেধ করা হয়েছে॥
ভগবত গীতা – অধ্যায় ৭ – স্তব ২০ - [ যাদের বোধশক্তি পার্থিব আকাঙক্ষার মাধ্যমে বিলুপ্ত হয়ে গেছে শুধু তারাই উপদেবতার নিকটে উপাসনা করে। ]
৫. ভগবত গীতা – অধ্যায় ১০ – স্তব ৩ -
[ তারা হচ্ছে বস্তুবাদি লোক ,তারা উপদেবতার উপাসনা করে ,তাই তারা সত্যিকার স্রস্টার উপাসনা করে না।]
৬. যজুর্বেদ – অধ্যায় ৪০- অনুচ্ছেদ ৯ –
[ অন্ধতম প্রভিশান্তি ইয়ে অশম্ভুতি মুপাস্তে – যারা অশম্ভুতির পুজা করে তারা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। তারা অধিকতর অন্ধকারে পতিত হয় শাম মুর্তির পুজা করে । অশম্ভুতি হল – প্রাকৃতিক বস্তু যেমন- বাতাস,পানি,আগুন । শাম মুর্তি হল – মানুষের তৈরী বস্তু যেমন - চেয়ার ,টেবিল ,মূর্তি ইত্যাদি।]
.
⏩ জানি , হিন্দুরা মূর্তি দিয়ে পূজা নিষিদ্ধের এইসব কথা বা রেফারেন্স কখনো মানতে চাইবে না , একটা কথা , যে জেগে জেগে ঘুমায় , তাকে ঘুম থেকে জাগানো খুব কঠিন। ⏪
.
মহান রাব্বুল আলামীন আল্লাহ আমাদেরকে সবকিছু যুক্তির সাথে বুঝার তৌফিক দান করুক যাতে আমরা শিরক না করি ।(আমীন)
.
Noted : এখানে আমি কোন প্রকারের hate speech প্রদান করি নাই । কোন ধর্মকেই কটাক্ষ করি নাই । হিন্দু ধর্ম গ্রন্থের রেফারেন্স দিয়েছে মাত্র।
কারন হিন্দু ধর্মে মূর্তি পূজা করতে নিষেধ করা হয়েছে।
.
আমার প্রশ্ন হল এই , যেটা নিষেধ করা হয়েছে , সেটা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে , পরিবেশ দূষন করে কেন এই কাজ করিবে ?
জবাব চাই , হিন্দু ধর্মের মানুষের কাছে ।
লিখে পোষ্ট করেছেন এক মুমিন।
জবাবঃ যে সম্পুর্নভাবে ক লিখতে অ লিখে তার
পোষ্ট দেখলে হাসি পায়।
যে ঋকবেদ রীগবেদ বলে
আর বেদ থেকে তিনি রেফারেন্স টানতে গিয়ে শ্রীমদ্ভগবদগীতা ৭/২০ এনেছেন যা সম্পুর্ন বানানো সেখানে মুর্তি বলে কিছু নেই। আর তিনি কি অাদৌ
গীতা  পড়েছেন তাহলেে ৭/২১ বা ৭/২২ রেফা টানতে পারতেন। গুপন ফাস হইব বলে টানেন নি। তিনি কি আদৌ জানেন গীতায় পুজার স্বীকৃত তৃতীয় অধ্যায় ১২ নং শ্লোক
ইষ্টান্ ভোগান্ হি বো দেবা দাস্যন্তে যজ্ঞভাবিতাঃ ।
তৈর্দত্তানপ্রদায়ৈভ্যো যো ভুঙক্তে স্তেন এব সঃ ॥
অর্থাত যে দেবতাদিগের পুজা
করে না সে চোর বলিয়া কথিত হন।
এরপর বলব তিনি যা কপি পেস্ট করছেন তিনি গাজা সেবন করি উহা
পোষ্ট করছেন।
ইসলাম শ্রেষ্ঠ কারন বেহেশতে গিয়া ৭২ ডা হুর পৃথিবীতে ৪ টা বিয়া আর কি চাই