এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২০

বেদে মন্ত্র

ঋচো অক্ষরে পরমে ব্যোমন্ যস্মিন্দেবা অধিবিশ্বে নিষেদুঃ।
যস্তন্ন বেদ কিমৃচা করিষ্যতি য ইত্তদ্বিদুস্ত ইমে সমাসতে।।
ঋগ্বেদ-- ( ১/১৬৪/৩৯)
বঙ্গানুবাদঃ-- যে বেদ প্রতিপাদিত, নাশ রহিত, সর্বোৎকৃষ্ট, সর্ব ব্যাপক ব্রহ্মে পৃথিবী সূর্যাদি লোক লোকান্তর আধেয় রূপে স্থিত রহিয়াছে সেই পরব্রহ্মকে যিনি জানেন না তিনি চারিবেদ দ্বারা কি করিবেন?
যিনি সেই পরব্রহ্মকে জানেন তিনি ব্রহ্মে স্থিতি লাভ করেন।

বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২০

মুসলিমের চুলকানির জবাব

❌জাকের নায়েকের মিথ্যা যুক্তি,,,
বেদে কি মূর্তি পূজা নিষিদ্ধ?
জাকের নায়েক রেফারেন্স দিল,,👇👇
হিন্দু ধর্মে মূর্তি পূজা নিষিদ্ধ। রেফারেন্স সহ প্রমান দিলামঃ
====================================
❌১. না তাস্তে প্রাতীমা আস্থি ( রীগ বেদ ৩২ অধ্যায় ৩ নং অনুচ্ছেদ )
অর্থাৎ ঈশ্বরের কোন প্রতি মূর্তি নেই,ছবি নেই,গ্রাফিকস নেই,ভাস্কর্য নেই,বিগ্রহ নেই
✅জবাব: প্রতিমা এটি সঙ্কাকৃত ভাষা
সংস্কৃতে প্রতিমা শব্দের" প্ৰতিম" 
আ প্রত্যই যোগে নিষ্পন্ন,। প্রতিম শব্দের অর্থ অতুলনীয়,,
প্রতিম শব্দ থেকেই প্রতিমা শব্দটি এসেছে,,
ন তস্য প্রতিমা অস্তি
অর্থ: তার কোনো তুলনা নেই
আরো ভেঙে বললে হয় তার তুল্য কেউ নেই,,,
জাকের নায়েক ওখানে ভুল অর্থ দেখিয়েছে,,
বাংলা বা হিন্দি গ্রামার দেখেন সেখানে পাবেন প্রতিমা সংস্কৃত ভাষা ,,যার বাংলা আভিধানিক অর্থ বুঝায় মূর্তি বা বিগ্রহ,
এখানে বাংলা গ্রামার কি দেখালো সেটা না দেখে সংস্কৃত ভাষায় প্রতিমা কি অর্থে ব্যবহূত হয়েছে সেটাই আমাদের নিতে হবে,,,
যেমন কোটি এটা সংস্কৃত ভাষা ,,এর অর্থ প্রকার
কিন্তু বাংলায় কোটি একটা সংখ্যা জাতীয়
বাংলা আর সংস্কৃত এক নই এখানে,,
✅দেব দেবীদের মূর্তি বলে সম্বোধন করা মূর্খের পরিচয়,,
যুক্তি: 1_ বেদ বলে জিব দেহ আগুন,জল,বাতাস, মাটি দ্বারা তৈরী,
কুরআন ও তাই বলে,,,
বিজ্ঞান দ্বারা ও এখন এটা প্রমাণিত,,
তাহলে মানব দেহ জল,মাটি,বাতাস অগ্নি দ্বারা তৈরি,
তাহলে দেব দেবীর বিগ্রহ কে যদি মূর্তি বলে ডাকা হয়,,
তাহলে মানুষকেও মূর্তি বলে ডাকবেন,,বিজ্ঞান বলছে জিব মাটি দ্বারা তৈরী
মানুষকে জল বলে ডাকবেন,,বিজ্ঞান বলছে জিব জল দ্বারা তৈরি
মানুষকে বাতাস বলে ডাকুন,,,বিজ্ঞান বলছে জিব বাতাস দ্বারা তৈরী,,
✅এখন এখানে যেমন মানুষকে মাটি,জল ,বাতাস নামে সম্বোধন করা বোকামি
ঠিক তেমনি দেব দেবীর মূর্তি কে শুধু মূর্তি বলে সম্বোধন বলে ঢাকা বোকামি,,
শুধু মূর্তি বলতে অনেক কিছুই বুঝায়,,
কিন্তু এখানে যদি দেব দেবীর মূর্তি বলে ঢাকেন ,
তাহলে এখানে আমরা স্পষ্ট যে দেব দেবিকেই সম্বোধন করা হয়েছে,,,,
যুক্তি :2_ How are you?
এখানে how এর 3টা অর্থ,,
কেমন ,কত ,কিভাবে
কিন্তু এখন যদি কোন মূর্খ অর্থাৎ ইংরেজি গ্রামার ই জানে না
তার পক্ষে বলা টা স্বাভাবিক,
How are you= তুমি কত আছ?😦 
ইতিহাস টা এখন বুঝে নিন,,😎
❌২. যারা নিজের বিবেক বুদ্ধি হারিয়েছে তাঁরাই মূর্তি পূজা করে ( ভগবৎ গীতা অধ্যায় ৭, অনুচ্ছেদ ২০ নম্বর ) ।
রেফারেন্স সহ দিলাম ।
জবাব : মূর্তি কি আর দেব দেবীর মূর্তি কি সেটা তো বললাম ই,,,👈
✅রেফারেন্স দেখি কি বলে
কামৈস্তৈস্তৈর্হৃতজ্ঞানাঃ প্রপদ্যন্তেন্যদেবতাঃ৷
তং তং নিয়মমাস্থায় প্রকৃত্যা নিয়তাঃ স্বয়া৷৷২০
অর্থ: যাদের মন জড়-কামনা বাসনা দ্বারা বিকৃত তারা দেব-দেবীর শরণাগত হয়ে এবং তাদের স্বীয় স্বভাব অনুসারে নিয়ম পালন করে দেবতাদের উপাসনা করে।
গীতা:7/20
মুসলিমদের রেফারেন্স টা দেখেন এখন,,কিভাবে মিথ্যা বলে সাধারণ মানুষদের ব্রেন ওয়াশ করাচ্ছে,,
জোড়,বাসনা,কামনা দ্বারা কি বুঝি আমরা?
আমার মন চায় ব্যবসায় অনেক লাভবান হওয়া,,
তাই আমি গণেশ দেবতার পূজা করবো,,এটাই আমার কামনা ,বাসনা
জ্ঞান ,বিদ্যায় আমি আরো এগিয়ে যেতে চাই,,তাই আমি স্বরস্বতি দেবীর পূজা করবো এটাই আমার জোর,বাসনা কামনা,,✅
তো মুসলিমদের রেফারেন্স টা দেখেন,,আর আমার টা দেখেন কোথায় বলা আছে বিবেক বুদ্ধি হারিয়েছে কথাটা🤔
✅ আমি জড় এবং চেতন জগতের সবকিছুর উৎস। সবকিছু আমার থেকে প্রবর্তিত হয়। সেই তত্ত্ব অবগত হয়ে যারা শুদ্ধ ভক্তি সহকারে আমার ভজনা করেন তারাই যথার্থ তত্ত্ব জ্ঞানী।
গীতা:::10/8
❌৩. হিন্দুরা অনেক দেব দেবির পুজা করলেও হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ গুলোতে হিন্দুদের কেবল মাত্র এক জন ইশ্বরের উপাসনা করতে বলা হয়েছে॥
বেদের ‘ব্রহ্ম সুত্র’ তে আছে “একম ব্রহ্মা দ্বৈত্য নাস্তি নহিনা নাস্তি কিঞ্চন” অর্থাৎ ইশ্বর এক তার মত কেউ নেই কেউ নেই সামান্যও নেই । আরও আছে “সে একজন তারই উপাসনা কর” (ঋকবেদ ২;৪৫;১৬)।
“একম এবম অদ্বৈত্তম” অর্থাৎ সে একজন তাঁর মত আর দ্বিতীয় কেউ নেই (ঋকবেদ ১;২;৩) ।
“এক জনেই বিশ্বের প্রভু” (ঋকবেদ ১০;১২১;৩) ।
জবাব: যথার্থ বলেছেন,,আমরা এক ঈশ্বর কেই উপাসনা করি,,
আমরা একেশ্বরবাদী,,,বহু ঈশ্বরবাদী না🙂
নিরাকার রূপে তিনি ঈশ্বর 
সাকার রূপে তিনি দেব দেবী✌️
❌৪. হিন্দু ধর্মে মুর্তি পুজা করতে নিষেধ করা হয়েছে॥
ভগবত গীতা – অধ্যায় ৭ – স্তব ২০ - [ যাদের বোধশক্তি পার্থিব আকাঙক্ষার মাধ্যমে বিলুপ্ত হয়ে গেছে শুধু তারাই উপদেবতার নিকটে উপাসনা করে। ]
জবাব:: এক রেফারেন্স আর কতবার ,ভিন্ন বাংলা অর্থ দিয়ে বুঝাবেন,,
উপরে যেয়ে দেখুন,,🤟7/20
❌৫. ভগবত গীতা – অধ্যায় ১০ – স্তব ৩ -
[ তারা হচ্ছে বস্তুবাদি লোক ,তারা উপদেবতার উপাসনা করে ,তাই তারা সত্যিকার স্রস্টার উপাসনা করে না।]
জবাব:: উক্ত রেফারেন্স এ গেছি,,কিন্তু যাইয়া দেখি অন্য কিছু,,,,,
যো মামজমনাদিং চবেত্তি লোকমহেশ্বরম্৷ 
অসম্মূঢ়ঃ স মর্ত্যেষু সর্বপাপৈঃ প্রমুচ্যতে৷৷৩
অর্থ: যিনি আমাকে আদিহীন জন্মরহিত ও সর্বলোকের মহেশ্বর বলে জানেন, মানুষের মধ্যে তিনিই মোহশুন্য হন এবং সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হন।
গীতা:10/3
৬. যজুর্বেদ – অধ্যায় ৪০- অনুচ্ছেদ ৯ –
[ অন্ধতম প্রভিশান্তি ইয়ে অশম্ভুতি মুপাস্তে – যারা অশম্ভুতির পুজা করে তারা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। তারা অধিকতর অন্ধকারে পতিত হয় শাম মুর্তির পুজা করে । অশম্ভুতি হল – প্রাকৃতিক বস্তু যেমন- বাতাস,পানি,আগুন । শাম মুর্তি হল – মানুষের তৈরী বস্তু যেমন - চেয়ার ,টেবিল ,মূর্তি ইত্যাদি।
জবাব:: হিন্দুরা বাতাস ,,আগুন,পানি কে পূজা করে না,
তবে এখানে আগুন আর পানি পূজার উপকরণ হিসেবে ব্যবহূত হয়,,
আগুন,আর পানি কে পূজা করা হয় না,,✌️
আর মানুষের তৈরী চেয়ার ,টেবিল খাট,মূর্তি ,
কিছু বলার আছে🤟??
তো প্রমাণিত: বেদ বলে নাই যে দেব দেবীর পূজা নিষিদ্ধ,,
জাকের নায়েক এর বেশির ভাগ লেকচারের উপরের রেফারেন্স গুলি থাকতো,,তার উদ্দেশ্য অমুসলিমদের 
কোরআনের দিকে ধাবিত করা,,
from:Arya Msd

বুধবার, ৮ এপ্রিল, ২০২০

কৃষ্ণ পুজা কি তামসিক?

কাউন্টার
কিছু অার্য নামক অনার্যরা পৌরনিক দের পিছনে লাগতে গিয়ে গীতাকে অমান্য করে আসুন
দেখি তাদের ধারনা কতটুকু

গীতা ৪র্থ অধ্যায়ে আমরা দেখতে
পাই
শ্লোক:1:
শ্রীভগবানুবাচ
ইমং বিবস্বতে যোগং প্রোক্তবানহমব্যয়ম্ ।
বিবস্বান্মনবে প্রাহ মনুরিক্ষ্বাকবেহব্রবীৎ ।।১।।
অনুবাদ : পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বললেন- আমি পূর্বে সূর্যদেব বিবশ্বানকে এই অব্যয় নিষ্কাম কর্মসাধ্য জ্ঞানযোগ বলেছিলাম। সূর্য তা মানবজাতির জনক মনুকে বলেছিলেন এবং মনু তা ইক্ষ্বাকুকে বলেছিলেন।

এই শ্লোকের দ্বারা ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যে জ্ঞানের কথা অর্জুন কে বলেছেন তা তিনি বহু আগে সূর্যদেব কে বলেছেন

এখন প্রশ্ন হতে পারে যে কৃষ্ণ কি করে সূর্যদেবকে বহু গোপনীয় জ্ঞান দিলেন। কারন সূর্যদেবের জন্ম  বহু আগে।
এই প্রশ্নই  অর্জুন শ্রীকৃষ্ণকে করেছিলেন
এখন দেখি তার উত্তর
শ্লোক:5:
ভগবান উবাচ
বহূনি মে ব্যতীতানি জন্মানি তব চার্জুন ।
তান্যহং বেদ সর্বাণি ন ত্বং বেত্থ পরন্তপ ।।৫।।
অনুবাদঃ পরমেশ্বর ভগবান বললেন- হে পরন্তপ অর্জুন ! আমার ও তোমার বহু জন্ম অতীত হয়েছে ৷ আমি সেই সমস্ত জন্মের কথা স্মরণ করতে পারি, কিন্তু তুমি পার না।

এখানে শ্রীকৃষ্ণ স্বীকার করেছেন যে তার জন্ম হয়েছে।কিন্তু সাধারন ভাবে না কারন সাধারন মনুষ্যরা কখনো তাদের জন্মের কথা মনে করতে পারেন না।
এখন দেখি কৃষ্ণ কিভাবে দেহ ধারন করেন।
শ্লোক:6:
অজোহপি সন্নব্যয়াত্মা ভূতানামীশ্বরোহপি সন্ ।
প্রকৃতিং স্বামধিষ্ঠায় সম্ভবাম্যাত্মমায়য়া

অনুবাদ : যদিও আমি জন্মরহিত এবং আমার চিন্ময় দেহ অব্যয় এবং যদিও আমি সর্বভূতের ঈশ্বর, তবুও আমার অন্তরঙ্গা শক্তিকে আশ্রয় করে আমি আমার আদি চিন্ময় রূপে যুগে যুগে অবতীর্ণ হই।

অর্থাত শ্রীকৃষ্ণ তার মায়া শক্তি দ্বারা জন্ম ধারন করে অবতীর্ণ হন।
এখন কোনো  সাধারন মনুষ্য কি 
এরুপ মায়া শক্তি ব্যবহার করতে পারে সেই সব আর্য নাম অনার্য কাছে আমার প্রশ্ন রয়ে গেল।
আসুন তার (কৃষ্ণ) অবতরনের 
কারন জেনে নিই

শ্লোকঃ 7-8
যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত ।
অভ্যুত্থানমধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম্ ।।৭।।
পরিত্রাণায় সাধূনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম্।
ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে।।৮//

অনুবাদ : হে ভারত ! যখনই ধর্মের অধঃপতন হয় এবং অধর্মের অভ্যূত্থান হয়, তখন 
সাধুদের পরিত্রাণ করার জন্য এবং দুষ্কৃতকারীদের বিনাশ করার জন্য এবং ধর্ম সংস্থাপনের জন্য আমি যুগে যুগে অবতীর্ণ হই।
 
এখন বোঝাগেল কৃষ্ণ কোন প্রেত৷ বা পিশাচ নই বা কোনো সাধারন মনুষ্য নই।
আর তাকে পুজা করবার জন্য শ্রীকৃষ্ণ  কি বলেছেন?  আসুন দেখে নিই

শ্লোকঃ 65
মন্মনা ভব মদ্ভক্তো মদযাজী মাং নমস্কুরু।
মামেবৈষ্যসি সত্যং তে প্রতিজানে প্রিয়োহসি মে।।৬৫।।.
 
অনুবাদঃ তুমি আমাতে চিত্ত অর্পণ কর আমাকে পুজা কর আমাকে নমষ্কার কর। তাহা হলে
তুমি আমাকে প্রাপ্ত হবে। যেহেতু 
তুমি আমার অতন্ত্য প্রিয়।

অতএব কৃষ্ণ পুজা কখনো তামসিক না। 

তাছারা গীতা ৪/১৫ তে শ্রীকৃষ্ণ বলেছেনপ্রাচীনকালে সমস্ত মুক্ত পুরুষেরা আমার অপ্রাকৃত তত্ত্ব অবগত হয়ে কর্ম করেছেন। অতএব তুমিও সেই প্রাচীন মহাজনদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তোমার কর্তব্য সম্পাদন কর।

অতএব এটা সম্পুর্ণ মিথ্যা যে কৃষ্ণ পুজা তামসিক।