এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০১৯

মুমিনদের চুলকানি / হিন্দুধর্মে মলম

কাউন্টার পোষ্ট
হিন্দু ধর্মে পূজা নিষিদ্ধ। রেফারেন্স সহ প্রমান দিলামঃ
১. না তাস্তে প্রাতীমা আস্থি ( রীগ বেদ ৩২ অধ্যায় ৩ নং অনুচ্ছেদ )
অর্থাৎ ঈশ্বরের কোন প্রতি মূর্তি নেই ।
২. যারা নিজের বিবেক বুদ্ধি হারিয়েছে তাঁরাই মূর্তি পূজা করে ( ভগবৎ গীতা অধ্যায় ৭, অনুচ্ছেদ ২০ নম্বর ) ।
রেফারেন্স সহ দিলাম ।
৩. হিন্দুরা অনেক দেব দেবির পুজা করলেও হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ গুলোতে হিন্দুদের কেবল মাত্র এক জন ইশ্বরের উপাসনা করতে বলা হয়েছে॥
বেদের ‘ব্রহ্ম সুত্র’ তে আছে “একম ব্রহ্মা দ্বৈত্য নাস্তি নহিনা নাস্তি কিঞ্চন” অর্থাৎ ইশ্বর এক তার মত কেউ নেই কেউ নেই সামান্যও নেই । আরও আছে “সে একজন তারই উপাসনা কর” (ঋকবেদ ২;৪৫;১৬)।
“একম এবম অদ্বৈত্তম” অর্থাৎ সে একজন তাঁর মত আর দ্বিতীয় কেউ নেই (ঋকবেদ ১;২;৩) ।
“এক জনেই বিশ্বের প্রভু” (ঋকবেদ ১০;১২১;৩) ।
৪. হিন্দু ধর্মে মুর্তি পুজা করতে নিষেধ করা হয়েছে॥
ভগবত গীতা – অধ্যায় ৭ – স্তব ২০ - [ যাদের বোধশক্তি পার্থিব আকাঙক্ষার মাধ্যমে বিলুপ্ত হয়ে গেছে শুধু তারাই উপদেবতার নিকটে উপাসনা করে। ]
৫. ভগবত গীতা – অধ্যায় ১০ – স্তব ৩ -
[ তারা হচ্ছে বস্তুবাদি লোক ,তারা উপদেবতার উপাসনা করে ,তাই তারা সত্যিকার স্রস্টার উপাসনা করে না।]
৬. যজুর্বেদ – অধ্যায় ৪০- অনুচ্ছেদ ৯ –
[ অন্ধতম প্রভিশান্তি ইয়ে অশম্ভুতি মুপাস্তে – যারা অশম্ভুতির পুজা করে তারা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। তারা অধিকতর অন্ধকারে পতিত হয় শাম মুর্তির পুজা করে । অশম্ভুতি হল – প্রাকৃতিক বস্তু যেমন- বাতাস,পানি,আগুন । শাম মুর্তি হল – মানুষের তৈরী বস্তু যেমন - চেয়ার ,টেবিল ,মূর্তি ইত্যাদি।]
.
⏩ জানি , হিন্দুরা মূর্তি দিয়ে পূজা নিষিদ্ধের এইসব কথা বা রেফারেন্স কখনো মানতে চাইবে না , একটা কথা , যে জেগে জেগে ঘুমায় , তাকে ঘুম থেকে জাগানো খুব কঠিন। ⏪
.
মহান রাব্বুল আলামীন আল্লাহ আমাদেরকে সবকিছু যুক্তির সাথে বুঝার তৌফিক দান করুক যাতে আমরা শিরক না করি ।(আমীন)
.
Noted : এখানে আমি কোন প্রকারের hate speech প্রদান করি নাই । কোন ধর্মকেই কটাক্ষ করি নাই । হিন্দু ধর্ম গ্রন্থের রেফারেন্স দিয়েছে মাত্র।
কারন হিন্দু ধর্মে মূর্তি পূজা করতে নিষেধ করা হয়েছে।
.
আমার প্রশ্ন হল এই , যেটা নিষেধ করা হয়েছে , সেটা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে , পরিবেশ দূষন করে কেন এই কাজ করিবে ?
জবাব চাই , হিন্দু ধর্মের মানুষের কাছে ।
লিখে পোষ্ট করেছেন এক মুমিন।
জবাবঃ যে সম্পুর্নভাবে ক লিখতে অ লিখে তার
পোষ্ট দেখলে হাসি পায়।
যে ঋকবেদ রীগবেদ বলে
আর বেদ থেকে তিনি রেফারেন্স টানতে গিয়ে শ্রীমদ্ভগবদগীতা ৭/২০ এনেছেন যা সম্পুর্ন বানানো সেখানে মুর্তি বলে কিছু নেই। আর তিনি কি অাদৌ
গীতা  পড়েছেন তাহলেে ৭/২১ বা ৭/২২ রেফা টানতে পারতেন। গুপন ফাস হইব বলে টানেন নি। তিনি কি আদৌ জানেন গীতায় পুজার স্বীকৃত তৃতীয় অধ্যায় ১২ নং শ্লোক
ইষ্টান্ ভোগান্ হি বো দেবা দাস্যন্তে যজ্ঞভাবিতাঃ ।
তৈর্দত্তানপ্রদায়ৈভ্যো যো ভুঙক্তে স্তেন এব সঃ ॥
অর্থাত যে দেবতাদিগের পুজা
করে না সে চোর বলিয়া কথিত হন।
এরপর বলব তিনি যা কপি পেস্ট করছেন তিনি গাজা সেবন করি উহা
পোষ্ট করছেন।
ইসলাম শ্রেষ্ঠ কারন বেহেশতে গিয়া ৭২ ডা হুর পৃথিবীতে ৪ টা বিয়া আর কি চাই

১১টি মন্তব্য:

  1. যদি তাই হয়,তাহলে তোমাদের ধর্মগ্রন্থ গুলো এক মুখে দুই কথা বললো না??
    এক জায়গায় বলতেছে মুর্তিপূজা নিষেধ আবার আরেক জায়গায় বলতেছে মুর্তিপূজা করো

    উত্তরমুছুন
  2. স্বর্গে অপ্সরা এলো কোথা থেকে চান্দু??

    উত্তরমুছুন
  3. যজুর্বেদ অধ্যায় ৪০ মন্ত্র ৯ এ বলা হয়েছে যারা প্রাকৃতিক বস্তুর পুজা করে তারা অন্ধকারে প্রবেশ করে, আরো অন্ধকারে প্রবেশ করে যারা শামবস্তু বা মূর্তির পুজা করে।
    জবাবঃ
    নিজেদের মিথ্যাচার ধরা পড়ে যাবার ভয়ে তারা ১০ ও ১১ নং মন্ত্র এরিয়ে যায়। আসলে সেখানে সম্ভূতি ও অসম্ভূতি নামে দুটো শব্দ আছে। জাকির নায়েকের অনুসারীরা সম্ভুতি এর অর্থ করে মূর্তি বা জড় জিনিস আর অসম্ভূতি অর্থ করে প্রকৃতি। শব্দগুলোর কোনো একক অর্থ নেই, একেক অনুবাদক একেক রকম অর্থ করেছেন। সম্ভূতি অর্থ সৃষ্টি এবং অসম্ভূতি অর্থ বিনাশ। যেমন আমরা বলি সজ্ঞানসম্ভূত মানে সজ্ঞানে সৃষ্ট। ৯ নং মন্ত্রে বলা হয়েছে, যারা কেবলমাত্র সম্ভূতি বা অসম্ভূতির উপাসনা করে, তারা অন্ধকারে লিপ্ত। ১০ নং মন্ত্রে বলা হয়েছে, এর কারণ এই দুইরকম উপাসনার ফল দুরকম। ১১ নং মন্ত্রে বলা হয়েছে, সম্ভূতি ও বিনাশ (অসম্ভূতি) কে যারা সমন্বয় করতে পারে, তারাই বিনাশ (অসম্ভূতি) দ্বারা মৃত্যুকে তরণ করে সম্ভূতির দ্বারা অমৃতকে লাভ করে। এবার যদি আমরা তাদের দেওয়া অনুবাদ অর্থাৎ সম্ভূতি মানে মূর্তিও ধরি, তবুও ১১ নং মন্ত্রে সম্ভূতি বা মূর্তিপুজা করতেই বলা হয়েছে।

    উত্তরমুছুন
  4. ঋগ্বেদ ৩২ অধ্যায় ৩ নং অনুচ্ছেদ কি জিনিস? ঋগ্বেদ বানানও ভুল, ঋগ্বেদে আছেই ১০ টা অধ্যায়, তার উপর ঋগ্বেদ মন্ডল, সুক্ত ও মন্ত্রে বিন্যস্ত। তাহলে ৩২ অধ্যায় অনুচ্ছেদ ৩ কি?

    উত্তরমুছুন
  5. ভূয়া,মিথ্যা তথ্যঃ
    “সে একজন তারই উপাসনা কর” (ঋকবেদ২ঃ৪৫ঃ১৬)
    জবাবঃ
    ঋগ্বেদের ২য় মন্ডলে আছেই ৪৩টা সূক্ত।সেখানে ৪৫সূক্তেরসূক্তের ১৬নং ঋক কোথা থেকে আসলো??

    উত্তরমুছুন
  6. ভূয়া ব্যাখ্যাঃ
    “একম এবম অদ্বৈত্তম” অর্থাৎ সে একজন তাঁর মত আর দ্বিতীয় কেউ নেই (ঋকবেদ১ঃ২ঃ৩) ।
    জবাবঃ
    ঋগ্বেদের ১ম মন্ডলের ২য় সূক্তের ৩য় ঋকে গিয়ে পাওয়া গেলো এই মন্ত্রটি,

    ঋষি,মধুচ্ছন্দা।ছন্দ,গায়েত্রী।
    বয়ো তব প্রপৃঞ্চতী ধেনা জিগাতী দাশুষে।উরুচী সোমপীতয়ে।।(ঋগ্বেদ ১/২/৩)📖
    অর্থঃ
    হে বায়ু, তোমার সোমগুণ প্রকাশক বাক্য সোম পানর্থে হব্যদাতা যজমানের নিকট আসছে,অনেকের নিকট আসছে।
    *সোমরস-এক ধরণের লতার রস,যা ঘৃতের মত দেবতাদের নিকট প্রিয় পানীয়।

    উত্তরমুছুন
  7. মিথ্যা তথ্যঃ
    “এক জনেই বিশ্বের প্রভু” (ঋকবেদ১০ঃ১২১ঃ৩) ।জবাবঃ
    ঋগ্বেদের ১০ম মন্ডলের ১২১সূক্তের ৩য় ঋকে গিয়ে পাওয়া যায় এই মন্ত্রটি,

    ঋষি-হিরণ্যগর্ভ। ছন্দ-ত্রিষ্টুপ্।
    যঃ প্রাণতো নিমিষতো মহিত্বৈক ইদ্রজা জগতো বভূব।
    য ঈশে অস্য দ্বিপদশ্চতুষ্পদঃ কস্মৈ দেবায় হবিষা বিধেম।।(ঋগ্বেদ,১০/১২১/৩)📖
    অর্থঃ
    যিনি নিজ মহিমা দ্বারা যাবতীয় দর্শননেন্দ্রিয়সম্পন্ন গতিশক্তিযুক্ত জীবদের অদ্বিতীয় রাজা হয়েছেন,যিনি এ সকল দ্বিপদ চতুষ্পদের প্রভু।আমরা উপসনায় কি নৈবেদ্য দেবো?

    উত্তরমুছুন
  8. মিথ্যাচারঃ গীতা অধ্যায় ১০ স্তব ৩
    [ তারা হচ্ছে বস্তুবাদি লোক ,তারা উপদেবতার উপাসনাকরে ,তাই তারা সত্যিকার স্রস্টার উপাসনা করে না।]
    জবাবঃ
    আমরা দেখবো আসলে গীতা অধ্যায় ১০ স্তব ৩ এ কি বলা হয়েছে
    যো মামজমনাদিং চ বেত্তি লোকমহেশ্বরম্।
    অসংমূঢ়ঃ স মর্ত্যেষু সর্বপাপৈঃ প্রমুচ্যতে।।৩।।
    অনুবাদঃ যিনি আমাকে জন্মরহিত, অনাদি ও সমস্ত গ্রহলোকের মহেশ্বর বলে জানেন, তিনিই কেবল মানুষদের মধ্যে মোহশূন্য হয়ে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হন।

    উত্তরমুছুন
  9. এদের ভন্ডামি সম্পর্কে জানতে পড়ুন

    https://vondomoderatemuslims.blogspot.com/2021/06/blog-post_75.html

    উত্তরমুছুন
  10. গীতার বহু যায়গায় দেবদেবীর উপাসনা করতে বলা হয়েছে।

    গীতা দ্বাদশ অধ্যায় শ্লোক ১-২

    অর্জুন উবাচ
    এবং সততযুক্তা যে ভক্তাস্ত্বাং পর্যুপাসতে।
    যে চাপ্যক্ষরমব্যক্তং তেষাং কে যোগবিত্তমাঃ।।১।।

    অনুবাদঃ অর্জুন জিজ্ঞাসা করলেন-এভাবেই নিরন্তর ভক্তিযুক্ত হয়ে যে সমস্ত ভক্তেরা যথাযথভাবে তোমার আরাধনা করেন এবং যাঁরা ইন্দ্রিয়াতীত অব্যক্ত ব্রহ্মের উপাসনা করেন, তাঁদের মধ্যে কারা শ্রেষ্ঠ যোগী।

    শ্রীভগবানুবাচ
    ময্যাবেশ্য মনো যে মাং নিত্যযুুক্তা উপাসতে।
    শ্রদ্ধয়া পরয়োপেতাস্তে মে যুক্ততমা মতাঃ।।২।।

    অনুবাদঃ শ্রীভগবান বললেন-যাঁরা তাঁদের মনকে আমার সবিশেষ রূপে নিবিষ্ট করনে এবং অপ্রাকৃত শ্রদ্ধা সহকারে নিরন্তর আমার উপাসনা করেন, আমার মতে তাঁরাই সর্বশ্রেষ্ঠ যোগী।

    https://krishnalela.blogspot.com/2019/03/srimad-bhagavad-bangla-gita.html?m=1

    গীতা ৩য় অধ্যায় শ্লোক ১২

    ইষ্টান্ ভোগান্ হি বো দেবা দাস্যন্তে যজ্ঞভাবিতাঃ।
    তৈর্দত্তানপ্রদায়ৈভ্যো যো ভুঙক্তে স্তেন এব সঃ।।১২।।

    অনুবাদঃ যজ্ঞের ফলে সন্তুষ্ট হয়ে দেবতারা তোমাদের বাঞ্ছিত ভোগ্যবস্তু প্রদান করবেন। কিন্তু দেবতাদের প্রদত্ত বস্তু তাঁদের নিবেদন না করে যে ভোগ করে, সে নিশ্চয়ই চোর।

    https://krishnalela.blogspot.com/2019/02/bangla-gita-chapter-3.html?m=1

    গীতা ৯ম অধ্যায় শ্লোক ২৩

    যেহপ্যন্যদেবতাভক্তা যজন্তে শ্রদ্ধয়ান্বিতাঃ।
    তেহপি মামেব কৌন্তেয় যজন্ত্যবিধিপূর্বকম্।।২৩।।

    অনুবাদঃ হে কৌন্তেয়! যারা অন্য দেবতাদের ভক্ত এবং শ্রদ্ধা সহকারে তাঁদের পূজা করে, প্রকৃতপক্ষে তারা অবিধি পূর্বক আমারই পূজা করে।

    https://krishnalela.blogspot.com/2019/03/srimad-bhagavad-gita-in-bengali-chapter_20.html?m=1

    উত্তরমুছুন
  11. ভগবান রামের পিতা তার ৪ স্ত্রীকে ঘোড়া দ্বারা সহবাস করিয়েছিলেন পূত্র সন্তানের আশায়। বাল্মিকী রামায়ণ, বালকান্ড (অস্বমেধ যজ্ঞ), যজুর্বেদ ২৩/২০-৩০ শ্লোক

    উত্তরমুছুন