এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

মেন্টাল ধর্মপ্রচারকের প্রশ্নের জবাব

ইসলাম প্রচারক এবং সনাতনে অপপ্রচার কারী রাসেদুলের ১৬টি প্রশ্নের উত্তর এবং পাল্টা প্রশ্ন।।👇👇

★১) হিন্দু ধর্মগ্রন্থে দূর্গা, কালি,লক্ষী,সরস্বতীপূজা সহ কোন পূজা করার নির্দেশ নাই। এগুলো নাম চাইনি এসকল পূজার অনুমতি দেখান? কোন কোন পূজার অনুমতি রেফারেনস দিন?
★২) কোন পূজা কিভাবে পালন করবে রেফারেনস দিন?
★৩) কোন দেব দেবদবী, কোন ঈশ্বরের মূর্তি কেমন দলিল দেখান?
★৪) প্রমান করুন কৃষন ঈশ্বর? তাহলে আমি প্রমান করব কৃষন ঈশ্বর নন। যদি বলেন কৃষন ঈশ্বর নন, তবে আমি হিন্দু ধর্মগ্রন্থ হতে দলিল দিব কৃষন ঈশ্বর। অর্থাৎ, পরস্পর বিরোধ।
★ ৫) কোন ধর্মগ্রন্থ কে কখন কার উপর অবতীর্ণ হল?
★৬) ঈশ্বর এর স্ত্রী সন্তান কেন লাগবে?
★৭) হিন্দু ধর্মগ্রন্থে ধর্মিয় কিছুই নাই, পূজা, ভক্ষন বা হালাল হারাম, বিবাহ কাকে নিষিদ্ধ বলা নাই( মনুসংহিতা হতে ৭-১৪ পুরুষ মানতে ৭০০-৮০০ বছর লাগবে।
★৮) হিন্দু ধর্মগ্রন্থে কোথাও বলেনাই, ঈশ্বর কর্তৃক প্রেরিত।
★৯) হিন্দু ধর্মগ্রন্থ হতে একটা মাত্র অলৌকিক বুঝায় শ্লোক দেখান, আমি কুরআন হতে শত দেখাব।
★১০) এক ঈশ্বরের বউ এর সাথে আরেক ঈশ্বরের বউ ও ঈশ্বরের সম্পর্কে কি?
★১১) গিতা ধর্মগ্রন্থ নয়- কারন কাব্য মহাভরতেরর একাংশ নিয়ে গিতা বানাল।। যেহেতু মহাভারত ধরমগ্রন্থ নয়। গিতা ধরমগ্রন্থ হলে মহাভারত ও কেন ধরমগ্রন্থ নয়?
★১২) সকল ঈশ্বর কেন বারবার ভারতেই জন্মেন? সব ঈশ্বর কেন ভারতেই বিয়া করেন?
★১৩) ভারতিয় উপমহাদেশের বাইরে জন্মসূত্রে হিন্দু নাই কেন?
★১৪) কল্কিও কেন হিন্দু মতে ঈশ্বর হয়ে আবার ভারতেই জন্মিবেন? বিয়া ও করিবেন?
★১৫) ঈশ্বর কেন পৃথিবি নিকৃষ্ট, ঘৃন্য তম প্রানি শুকর ( বরাহ) অবতার হয়ে জন্মেন? এছাড়া মাছ( মৎস্য) সহ বহু আজগুবি ঈশ্বর।
★১৬) হিন্দুদের সৃষ্টিকর্তার প্রতীক ( ওম বলে),সেই প্রতীক (যা দেখতে আল্লাহু আরবি লেখা)। হিন্দুরা কেন এমন লিখেন? দলিল দেখান। এটা দেখতে আল্লাহু লিখলে আরবীতে যেমন দেখায়। আরবি অক্ষরে আলিফ, লাম,হা - সাথে,যবর,পেশ,খাড়া যবর, তাশদীদ মিলে হয় এমন।।তাহলে মুসলিমরা লিখতেই পারে। কিন্ত কেন এমন লিখেন?
]]--------------------------------------------------------------------->>#১হিন্দু ধর্মগ্রন্থে দূর্গা, কালি,লক্ষী,সরস্বতীপূজা সহ কোন পূজা করার নির্দেশ :-

ঋগবেদ ১০/১২৫- দেবী সূক্ত
http://back2thevedas.blogspot.com/2016/10/blog-post_5.html?m=1

সরস্বতী , লক্ষ্মী ও পার্বতী। শাক্তধর্ম অনুযায়ী, এই ত্রিমূর্তি মহাশক্তির এক প্রকাশ।
https://bn.m.wikipedia.org/wiki/ত্রিদেবী

👉 মানুষ মাত্রই জড়
কামনা-বাসনা দ্বারা জড়িত তাই তারা
মূর্তি নির্মিত দেবতাদের উপাসনা করছে
ও করবেও অর্থাৎ সাকারবাদি। কিন্তু
যাদের মস্তিস্ক এই জড় কামনা-বাসনা
দ্বারা জড়িত নয় তারা কিন্তু মূর্তি
নির্মিত দেবতাদের উপাসনা করবে না
অর্থাৎ নিরাকারবাদি।তারা “সর্বভূতে
ঈশ্বরের অনুভুতি লাভ করে”।
বলেছি নিরাকারবাদি হতে গেলে তাকে
যথেস্ট আধ্যাত্মিক জ্ঞান সম্পন্না হতে
হবে, যেটা একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে
এক লাফে, কোনো দিনও সম্ভব নয়। তাই
সাকারবাদি থেকে নিরাকারবাদির দিকে
যেতে হবে।
এরপর
শ্রীমদভগবদগীতা ৭.২১ তে বলা হয়েছে-
“যো যো যাং যাং তনুং ভক্তঃ
শ্রদ্ধয়ার্চিতুমিচ্ছতি ।
তস্য তস্যাচলাং শ্রদ্ধাং তামেব
বিদধাম্যহম ।।”
“পরমাত্মারূপে আমি সকলের হৃদইয়ে বিরাজ
করি। যখনই কেউ দেবতাদের পূজা করেতে
ইচ্ছা করে, তখনই আমি সেই সেই ভক্তের
তাতেই অচলা শ্রদ্ধা বিধান করি”

অর্থ্যাৎ-ভগবান প্রত্যেককেই স্বাধীনতা
দিয়েছেন, তাই কেউ যদি জড় সুখভোগ করার
জন্য কোন দেবতার পূজা করতে চাই, তখন
সকলের অন্তরে পরমাত্মারূপে বিরাজমান
পরমেশ্বর ভগবান তাদের সেই সমস্ত
দেবতাদের পূজা করার সব রকম সুযোগ-
সুবিধা দান করেন। সমস্ত জীবের পরম
পিতা ভগবান কখনও তাদের স্বাধীনতায়
হস্তক্ষেপ করেন না, পক্ষান্তরে তিনি
তাদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করার সব রকম
সুযোগ-সুবিধা দান করেন।
এরপর
শ্রীমদভগবদগীতা ৭.২২ তে বলা হয়েছে-
স তয়া স্রদ্ধয়া যুক্তস্তস্যারাধনমীহতে ।
লভতে চ ততঃ কামান্ময়ৈব বিহিতান হি
তান ।।
সেই ব্যাক্তি শ্রদ্ধাযুক্ত হয়ে সেই দেবতার
আরাধনা করে এবং সেই দেবতার কাছে
থেকে আমারই(ভগবান) দ্বারা বিহিত
কাম্য বস্তু অবশ্যই লাভ করে।

তাই হিন্দুদের মূর্তিপূজা করার
স্বাধীনতার আছে। তাই কেউ যদি মূর্তি
পূজা করে সেটাও হিন্দু ধর্ম সম্বত আর কেউ
যদি মূর্তি না করে সেটাও হিন্দু ধর্ম সম্বত,
কারন হিন্দু ধর্মে ভগবান সাকার ও
নিরাকার উভয় মাধ্যমে পূজিত হয়। হ্যাঁ
তবে দেবদেবতার আরাধনা না করে এক
ভগবানের আরাধনা করাই উৎকৃ্স্ট। কিন্তু এই
উৎকৃ্স্ট পথে, এক লাফে যাওয়া কোনো
দিনও সম্ভব নয়। এর জন্য প্রথমে
সাকারবাদি হতে হবে তারপর
নিরাকারবাদি।

#২কোন পূজা কিভাবে পালন করবে রেফারেনস দিন?

পত্রম্ পুস্পম্ ফলম্ তোয়ম্ যঃ মে ভক্তাঃ প্রযচ্ছতি ।
তত্ অহম্ ভক্ত্যুপহৃতম্ অশ্নামি প্রযতাত্মনঃ ।। (গীতা
৯/২৬)
.
অর্থ--- যে বিশুদ্ধ চিত্ত নিস্কাম ভক্ত আমাকে ভক্তি
পুর্বক পত্র, পুস্প, ফল ও জল অর্পন করেন,আমি তার
সেই ভক্তি প্লুত উপহার প্রীতি সহকারে গ্রহন করি।
.
https://sanatandharmatattva.wordpress.com/category/পূজার্চ্চনার-নিয়ম-এবং-পদ/

#৩) কোন দেব দেবদবী, কোন ঈশ্বরের মূর্তি কেমন দলিল দেখান?

👉দেব-দেবী তত্ব
https://www.google.com/search?client=ms-opera-mini-android&q=দেব-দেবী+তত্ব&oq&aqs

#৪) প্রমান করুন কৃষন ঈশ্বর? তাহলে আমি প্রমান করব কৃষন ঈশ্বর নন। যদি বলেন কৃষন ঈশ্বর নন, তবে আমি হিন্দু ধর্মগ্রন্থ হতে দলিল দিব কৃষন ঈশ্বর। অর্থাৎ, পরস্পর বিরোধ।

👉শ্রীকৃষ্ণ পূর্ণ পরমেশ্বর না কি অংশ কলা !?

https://m.facebook.com/groups/1036238299838934?view=permalink&id=1553392794790146

যোগযুক্ত হয়ে শ্রী কৃষ্ণ গীতার বাণী প্রদান করেন

sanatanatirtha.blogspot.com/2018/03/blog-post.html?m=1

#৫) কোন ধর্মগ্রন্থ কে কখন কার উপর অবতীর্ণ হল?

👉সপ্তঋষি যাদের মাধ্যমে ধ্যানযোগে মানবজাতি বেদ
প্রাপ্ত হয় তাঁরা হলেন –
“অঙ্গিরা,অত্রি,বশিষ্ঠ ভরদ্বাজ,কশ্যপ,বিশ্বামিত্র জমদগ্নি”
(মনুসংহিতা- ১/৩৫)
(বৃহদারণ্যক উপনিষদ-- ২/২/৬)
.
দশমানসপুত্রের অন্যরা হলেন আদিত্য,বায়ু,ভৃগু।
এদের মধ্যে চারজন(অন্গিরা,আদিত্য অথর্বান,অত্রি) প্রথম
বেদ মন্ত্র দর্শন করেন
(শতপথ ব্রাহ্মন ১১/৫/২/৩)
.
শ্রীগীতা সর্বপ্রথম কে লাভ করে---
.
ভগবান উবাচ
ইমম বিবস্বতে যোগম্ প্রোক্তবান অহম্ অব্যয়ম্ ।
বিবস্বান মনবে প্রাহ মনুঃ ইক্ষাকবে অব্রবীত্ ।। (৪/১)
.
অর্থ-ভগবান বললেন-অমি পুর্বে সুর্য্যদেব
বিবশ্বানকে এই অব্যয় নিস্কাম কর্মসাধ্য জ্ঞান যোগ বলে
ছিলাম। সুর্য তা মানবজাতির জনক মনুকে বলেন এবং মনু তা
ইক্ষাকুকে বলেছিলেন।
.
গীতা সর্বপ্রথম প্রাপ্ত হন সূর্যদেব বিবস্বান।

#৬) ঈশ্বর এর স্ত্রী সন্তান কেন লাগবে?

👉ঈশ্বরের স্ত্রী আছে এমন তথ্য কোথাও নেই, চ্যালেঞ্জ রইলো তার কাছে।
বেদে আমাদেরকেই ঈস্বরের সন্তান বলা হয়েছে।

""ত্বং হি নঃ পিতা বসো ত্ব মাতা শতক্রতো
বভূবিথ | অধা তে সুম্নমীমহে ||
(ঋগ্বেদ ৮/৯৮/১১)
হে সকলের আশ্রয়স্থল , অগণিত
শুভকার্যের সম্পাদক পরমাত্মন্ ! তুমিই
আমাদের সকলের পিতা , তুমিই মাতা , এজন্য
তোমাকে আমরা উত্তম রূপে মনন করি |
#৭) হিন্দু ধর্মগ্রন্থে ধর্মিয় কিছুই নাই, পূজা, ভক্ষন বা হালাল হারাম, বিবাহ কাকে নিষিদ্ধ বলা নাই( মনুসংহিতা হতে ৭-১৪ পুরুষ মানতে ৭০০-৮০০ বছর লাগবে।

👉পূজার রেফারেন্স উপরে দেওয়া আছে।।

(১)ভক্ষন:-

'আহারস্ত্বপি সর্বস্য ত্রিবিধো ভবতি প্রিয়ঃ৷
যজ্ঞস্তপস্তথা দানং তেষাং ভেদমিমং শৃণু৷৷

প্রকৃতিভেদে সকলেরই প্রিয় আহারও ত্রিবিধ
হইয়া থাকে; সেইরূপ যজ্ঞ, তপস্যা এবং দানও
ত্রিবিধ; উহাদের মধ্যে যেরূপ প্রভেদ তাহা
শ্রবণ কর । (গীতা ১৭/৭)

'আয়ুঃসত্ত্ববলারোগ্যসুখপ্রীতিবিবর্ধনাঃ৷
রস্যাঃ স্নিগ্ধাঃ স্থিরা হৃদ্যা আহারাঃ সাত্ত্বিকপ্রিয়াঃ৷৷

যাহা আয়ু, উৎসাহ, বল, আরোগ্য, চিত্ত-প্রসন্নতা
ও রুচি - এ সকলের বর্ধনকারী এবং সরস,
স্নেহযুক্ত, সারবান্ এবং প্রীতিকর - এইরূপ
(সাত্ত্বিক) আহার সাত্ত্বিক ব্যক্তিগণের প্রিয় ।
(গীতা ১৭/৮)

'কট্বম্ললবণাত্যুষ্ণতীক্ষ্ণরূক্ষবিদাহিনঃ৷
আহারা রাজসস্যেষ্টা দুঃখশোকাময়প্রদাঃ

অতি কটু, অতি অম্ল, অতি লবণাক্ত, অতি উষ্ণ,
তীক্ষ্ণ, বিদাহী এবং দুঃখ, শোক ও রোগ
উৎপাদক (রাজসিক) আহার রাজস ব্যক্তিগণের প্রিয় ।
(গীতা ১৭/৯)

'যাতযামং গতরসং পূতি পর্যুষিতং চ যত্৷
উচ্ছিষ্টমপি চামেধ্যং ভোজনং তামসপ্রিয়ম্৷৷

যে খাদ্য বহু পূর্বে পক্ক, যাহার রস শুষ্ক হইয়া
গিয়াছে, যাহা দুর্গন্ধ, পর্যুষিত (বাসি), উচ্ছিষ্ট ও
অপবিত্র, তাহা তামস ব্যক্তিগণের প্রিয় । (গীতা
১৭/১০)

ব্রীহি মত্তং যবমত্তমথো তিলম্।
এষ বাং ভাগো নিহিতো রত্ন ধেয়ায় দন্তৌ মা হিংসিষ্টং পিতরং মাতরং চ।।
(অথর্ববেদ ৬।১৪০। ২ )

চাউল, যব, মাষ এবং তিল ভক্ষণ কর।
রমণীয়তার জন্য ইহাই তোমাদের জন্য বিহিত
হইয়াছে! পালক ও রক্ষককে ভক্ষণ করিও না।

পুষ্টিং পশুনাং পরি জগ্রভাহং চতুষ্পদাং দ্বিপদাং য়চ্চ ধান্যম্ ।
পয়ঃ পশুনাংরসমোষ ধীনাং বৃহস্পতিঃ সবিতা মে নি য়চ্ছাৎ
(অথর্ব্ববেদ ১৯। ৩১। ৫ )

চতুস্পদ পশু, দ্বিপদ পশু এবং ধান্য হইতে
আমরা পুষ্টি গ্রহণ করি । এজন্য সৃষ্টি কর্ত্তা
পরমেশ্বর আমাদিগকে পশু দুগ্ধ ও ঔষধির রস প্রদান
করিয়াছেন ।

(২)বিবাহ-->

অসপিন্ডা চ যা মাতুরসগোত্রা চ যা পিতুঃ।
সা প্রশস্তা দ্বিজাতীনাং দারকর্ম্মাণি মৈথুনো।।
মনুসংহিতা ৩/৫

যে স্ত্রী মাতার সপিন্ডা না হয়, অর্থ্যাৎ সপ্তপুরুষ
পর্য্যন্ত মাতামহাদি বংশজাত না হয় ও মাতামহের চতুর্দ্দশ পুরুষ
পর্য্যন্ত সগোত্রা না হয় এবং পিতার সগোত্রা বা সপিন্ডা না হয়
অর্থ্যাৎ পিতৃয়স্রাদি সন্ততি সম্ভূতা না হয়, এমন স্ত্রীই
দ্বিজাতিদিগের বিবাহের যোগ্যা জানিবে”স্বপিন্ড মানে হলো নিজ বংশ।
আর এই শ্লোকে এটা স্পস্ট যে নিজ রক্তের সম্পর্কের
মধ্যে বিবাহ করা যাবেনা।

মহান্ত্যপি সমৃদ্ধানি গোহজাবিধনধান্যতঃ।
স্ত্রী সম্বন্ধে দশৈতানি কুলানি পরিবর্জয়েৎ।।
মনুসংহিতা ৩/৬

“গো, মেষ, ছাগ ও ধন-ধান্য দ্বারা অতিসমৃদ্ধ মহাবংশ
হইলেও বিবাহ বিষয়ে এই বক্ষ্যমাণ দশ কুল পরিত্যাগ করিতে
হইবে”
(বিঃদ্রঃ::-৭-১৪পুরুষ ৭০০-৮০০বছর বলতে উনি কী বুঝাতে চেয়েছে আমার জানা নেই কারন আমি মাদ্রাসায় পড়িনি।)

#৮) হিন্দু ধর্মগ্রন্থে কোথাও বলেনাই, ঈশ্বর কর্তৃক প্রেরিত।

👉👉যজুর্বেদ ৩৩/৩১ এবং অথর্ববেদ ১৩/২/১৬
--উদুত্যং জাতবেদসং দেবং বহন্তি কেতবঃ।
--দৃশে বিশ্বায় সূর্য্যম্।।
.
হে জগদীশ্বর! তুমিই বেদের উৎপাদক ও
প্রকাশ স্বরুপ। সকলকে তোমার মহিমা দেখাইবার জন্যই
সংসারের যাবতীয় পদার্থ পতাকার ন্যায় কার্য্য করিতেছে।
.
যজুূর্বেদ - ৩১/৭
সেই সর্ব্ব পূজ্য পরমাত্মা হইতে ঋগ্বেদ,
সামবেদ,অথর্ববেদ এবং যজুর্বেদ উৎপন্ন হইয়াছে।
.
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতাও স্বয়ং ঈশ্বরের বানী তা
নিম্নের শ্লোকে স্পষ্ট প্রমাণিত---
.
ভগবান উবাচ
ইমম বিবস্বতে যোগম্ প্রোক্তবান অহম্ অব্যয়ম্ ।
বিবস্বান মনবে প্রাহ মনুঃ ইক্ষাকুবে অব্রবীত্ ।। (গীতা
৪/১)
.
অর্থ-ভগবান বললেন-অমি পুর্বে সুর্য্যদেব
বিবশ্বানকে এই অব্যয় নিস্কাম কর্মসাধ্য জ্ঞান যোগ বলে
ছিলাম। সুর্য তা মানবজাতির জনক মনুকে বলেন এবং মনু তা
ইক্ষাকুকে বলেছিলেন।

#৯) হিন্দু ধর্মগ্রন্থ হতে একটা মাত্র অলৌকিক বুঝায় শ্লোক দেখান, আমি কুরআন হতে শত দেখাব।

👉এ কেমন প্রশ্ন আমি বুঝতেছিনা,উনি কমেন্টে বুঝিয়ে বললে আশাকরি এই প্রশ্নেরও সমাধান দিয়ে দেব।

#১০) এক ঈশ্বরের বউ এর সাথে আরেক ঈশ্বরের বউ ও ঈশ্বরের সম্পর্কে কি?

👉আগেই বলছি ঈশ্বরের কোন স্ত্রী নেই মাতা-পিতা নেই
শ্বেতাশ্বতরোপনিষৎ ৬.৯
“তার কোনো মাতা-পিতা নেই, কোনো প্রভুও নেই”,
ঈশ্বরের বউ আছে তার রেফারেন্স দিন।।

#১১) গিতা ধর্মগ্রন্থ নয়- কারন কাব্য মহাভরতেরর একাংশ নিয়ে গিতা বানাল।। যেহেতু মহাভারত ধরমগ্রন্থ নয়। গিতা ধরমগ্রন্থ হলে মহাভারত ও কেন ধরমগ্রন্থ নয়?

👉মহাভারত যদি সাহিত্য হয় তবে গীতা ধর্মগ্রন্থ হয় কি করে 👇

https://m.facebook.com/groups/1781221118636732?view=permalink&id=2026736384085203

#১২) সকল ঈশ্বর কেন বারবার ভারতেই জন্মেন? সব ঈশ্বর কেন ভারতেই বিয়া করেন?

👉গীতায় ঈশ্বর বলেছেন যে তার ভক্তই তার সবচেয়ে প্রিয় ও তার ভক্তের কখনো বিনাশ হয় না ।পরমেশ্বর কৃষ্ণ নিজে তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তার ভক্তের মহিমা প্রকাশ করেছেন । অপরদিকে কৃষ্ণ ভক্ত সবসময় ভগবানের মহিমা গুন কীর্তন করেন , এইভাবে ভগবান আর ভক্তের মাঝে প্রেমময়ি প্রতিযোগিতা সম্পাদন হয় । ঠিক আপনি যদি হৃদয় থেকে কাওকে ভালবাসেন তাহলে তার প্রতি আপনার মনোভাব কেমন হবে ?
অবশ্যই অত্যান্ত উদারপরায়ন আপনি সবসময় চাইবেন আপনার চাইতেও তাকে মহিমান্বিত করার জন্য, এবং এইভাবে আপনাদের মধ্যে ভালোবাসার বন্ধন আরও জোরালো হয় , ভগবান ও তার ভক্তের মাঝে এইরকম হয়ে থাকে ।
যেমন আমি উদাহারন দেয় – কৃষ্ণ সেই ৫ মাস বয়স থেকে কত বাঘা বাঘা অসুর নিধন করেছেন । কিন্তু শুধুমাত্র কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে কেন তিনি অর্জুনের রথের সারথি হলেন ,তার কি উদ্দেশ্য ? কেন ভাগবান এইখানে অর্জুনের রথের সারথি হলেন ?
কারন ভগবান চান তার ভক্ত কে মহিমান্নিত করতে ।তাই অর্জুনকে দিয়ে যুদ্ধ করিয়ে নিজে রথের সারথি হলেন । তাই এখনও আমরা সেই পার্থ সারথি বলে ডাকি । এইভাবে ভগবান তার শুদ্ধ ভক্তদের মহিমান্বিত করেন যাতে , সেই ভক্তের কৃপায় সাধারন জীবেরা ভগবানের কাছে ফিরে যেতে পারে ,
আদিকালে সমগ্র পৃথিবী ভারতবর্ষ নামে পরিচিত ছিল । তবুও ভগবান কৃষ্ণ তথাকথিত এই ভারত বর্ষেই তার লীলা সম্পাদন করেছে ,যা বর্তমানে ভারত বর্ষ বলে পরিচিত । এমনকি শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু ও শুধুমাত্র এই ভারত বর্ষেই তার লীলা সম্পাদন করেছেন কিন্তু বলে গেছেন
“পৃথিবীতে যত আছে নগরাদি গ্রাম সর্বত্রই প্রচার হইবে মোর এই নাম “
এর মাধ্যমে আমরা কি বুঝতে পারি ? ভগবান চাইছেন তার কোন শুদ্ধ ভক্ত এসে এই জগতকে হরিনাম দ্বারা প্লাবিত করুক , এবং সেই শুদ্ধ ভক্তের চরণ আশ্রয় গ্রহনের মাধ্যমে সমগ্র জগতবাসী ভগবানের ধামে ফিরে আসুক। বর্তমান এই অবস্থায় দাড়িয়ে আমরা দেখছি যে মহাপ্রভুর সেই ভবিষ্যৎ বানী সফল হয়েছে ।সমগ্র নগর গ্রাম পল্লী ,এমনকি আমাজান জঙ্গলে ও কৃষ্ণ ভক্তরা হরিনাম প্রচার এবং কীর্তন করে মহাপ্রভুর বানীকে সার্থক করেছেন । অতএব ভগবান চাইছিলেন কোন শুদ্ধ ভক্তের কৃপা আশীর্বাদ লাভ করে এই পতিত জীব গণ উদ্ধার হোক । তাই বর্তমানে প্রভুপাদের কৃপাই অনেক শুদ্ধ ভক্ত সাড়া বিশ্ব ব্যপি হরিনাম প্রচার করছে ।আমরা জানি ভগবানের নাম,রুপ,গুন,লীলা সমস্থ কিছুই ভগবান হতে অভিন্ন তাই এখন সমগ্র বিশ্ব জুড়ে ভগবান কৃষ্ণের লীলা সম্পাদন হচ্ছে তার শুদ্ধ ভক্তদের মাধ্যমে ।

#১৩) ভারতিয় উপমহাদেশের বাইরে জন্মসূত্রে হিন্দু নাই কেন?

👉চেক করে নিন
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Hinduism_by_country

#১৪) কল্কিও কেন হিন্দু মতে ঈশ্বর হয়ে আবার ভারতেই জন্মিবেন? বিয়া ও করিবেন?

👉১২নং প্রশ্নের উত্তর পড়ুন।

#১৫) ঈশ্বর কেন পৃথিবি নিকৃষ্ট, ঘৃন্য তম প্রানি শুকর ( বরাহ) অবতার হয়ে জন্মেন? এছাড়া মাছ( মৎস্য) সহ বহু আজগুবি ঈশ্বর।

👉১/মৎস্য অবতারের রহস্যভেদ
back2thevedas.blogspot.com/2018/07/blog-post.html

২/বরাহ অবতারের রহস্যভেদ
back2thevedas.blogspot.com/2018/06/blog-post_50.html

#১৬) হিন্দুদের সৃষ্টিকর্তার প্রতীক ( ওম বলে),সেই প্রতীক (যা দেখতে আল্লাহু আরবি লেখা)। হিন্দুরা কেন এমন লিখেন? দলিল দেখান। এটা দেখতে আল্লাহু লিখলে আরবীতে যেমন দেখায়। আরবি অক্ষরে আলিফ, লাম,হা - সাথে,যবর,পেশ,খাড়া যবর, তাশদীদ মিলে হয় এমন।।তাহলে মুসলিমরা লিখতেই পারে। কিন্ত কেন এমন লিখেন?

👉পৃথিবীর প্রাচীন ১০টি ভাষার মধ্যে নেই আরবি ভাষা

https://www.daytranslations.com/blog/2018/01/what-are-the-worlds-oldest-languages-10620/

১ম স্থানে আছে সংস্কৃত,তামিল ভাষা তাহলে নিজেই বিবেচনা করুন আরবি ভাষা থেকে "ঔঁ"আসছে নাকী সংস্কৃত ভাষা থেকে আল্লাহু শব্দটি বানানো হয়েছে?

রাসেদুলের কাছে প্রশ্ন ::-

#প্রশ্ন:১/কোরানে ১২৪০০০০ নবী,রাসুলের কথা বলা থাকলেও পুরো কোরান, হাদিসে ২৫-৩০জনের নাম আছে মাত্র কিন্তু কেন আরগুলা কোই !?

#প্রশ্ন২/১০৪টা আসমানি কিতাবের মধ্যে ১০টা কিতাবের নাম রেফারেন্স সহ দিন।

#প্রশ্ন৩/আল্লাহর ঘর ‘কাবা’ (Quran 3:96) মুহম্মদের মৃত্যুর পর কয়েকবার ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় ! কাবার কালো পাথর (Black stone) বিদীর্ণ হয় বহু খন্ডে, Qarmatians-রা সেটা চুরি করে এবং বহু বছর পরে তার বিনিময়ে মুক্তিপন আদায় করে ! সর্ব শক্তিমান আল্লাহ কেন সমগ্র মুসলিম জাহানের এই পবিত্র ঘর এবং পাথর কে বাঁচাতে কোন ধরনের পদক্ষেপ নিলেন না ?

http://en.wikipedia.org/wiki/Kaaba#After_Muhammad
http://www.al-islam.org/kaaba14/1.htm
http://en.wikipedia.org/wiki/Black_Stone#History_and_tradition

#প্রশ্ন৪/কালো পাথরে চুম্মাচাট্টির করার জন্য কোরানে কোথায় বলা হয়েছে?আর মোহাম্মদ কার নির্দেশে কালোপাথর চুম্মাচাট্টি করতেন রেফারেন্স দিন।।

#প্রশ্ন৫/কুরান জানায়, আমাদের মহাবিশ্ব সাত স্তর বিশিষ্ট (Quran 71:15) ! কিন্তু প্রকৃত পক্ষে এই মহাবিশ্ব ট্রিলিয়ন সংখ্যক ছায়াপথ আর সাথে বিলিয়ন বিলিয়ন নক্ষত্র নিয়ে গঠিত, যেখানে সপ্তস্তর বলে কিছু নেই ! তবে কেন এ ধরনের অসত্য তথ্য ?

http://en.wikipedia.org/wiki/Galaxy

অনেকেই দাবি করেন আয়াতে উল্লেখিত সপ্তস্তর বলতে আকাশের বায়ু মন্ডলিয় স্তর বোঝানো হয়েছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীর উপরিভাগে বায়ুস্তর রয়েছে পাঁচটা http://en.wikipedia.org/wiki/Atmosphere_of_Earth#Principal_layers

#প্রশ্ন৬/কুরান অনুসারে, আল্লাহ এই মহাবিশ্ব তৈরি করেছেন কোন ধরনের অসঙ্গতি (বা ফাটল) ব্যতীত (Quran 67:3) ! তিনি কি ব্লাক হোলের (Black Hole) ব্যাপারে কিছুই জানতেন না ?

The evidence of Black Hole indicates certain degree of instability in the galaxy. Black holes absorb stars and even galaxies in regions of space where from which no entity, including light, can escape.

http://en.wikipedia.org/wiki/Black_hole

#প্রশ্ন৭ পর্বতরাজি কি আসলেই ভুমিকম্প প্রতিরোধ করে বা পৃথিবিকে কম্পন থেকে রক্ষা করে (Quran 16:15 21:31 31:10 79:32-33) ? তবে বিজ্ঞান কেন ভিন্ন কথা বলে (They could form a barrier to a giant earthquake — and they could also easily trigger a giant earthquake) ?

http://www.ouramazingplanet.com/2464-diving-mountains-stop-start-earthquakes-subduction-seamounts.html
http://earthquake.usgs.gov/earthquakes/recenteqsww/

#প্রশ্ন৮ ভুমিকম্প আর প্রবল ঘূর্ণিঝড় হওয়ার মূল কারন কি কাফের বা অবিশ্বাসিদের ভয়ভীতি প্রদর্শন বা তাদের নিধন করা (Quran 16:45, 29:37, 17:68) ? তবে মুসলিমদেশ গুলোতে এতো ভুমিকম্প সংগঠিত হয় কেন ?

http://www.ageofislam.com/content/view/5/5/

#প্রশ্ন৯ মুহম্মদের ভাষ্যমতে, যদি কোন পুরুষের প্রথমে বীর্য স্থলন ঘটে তবে সন্তানের চেহারা হবে তার (বাবার) মত, যদি স্ত্রীর আগে ঘটে তবে হবে মায়ের মত (Sahih Bukhari 4:55:546) ! নবীর এধরনের মিথ্যাচারে আপনি বিশ্বাস স্থাপন করে যাচ্ছেন কেন ?

http://au.answers.yahoo.com/question/index?qid=20100201220421AATRr1l
http://www.dnaftb.org/1/

#প্রশ্ন১০ কোন কথা আস্থাযোগ্য না হলেই মানুষ শপথ করে / কছম কাটে ! তবে কেন আল্লাহকে কুরানে এতোবার কছম কাটতে হলো (Quran 57:1-4, 52:1-6, 53:1, 56:75, 70:40, 74:31-34, 84:16-18, 89:1-4, 92:1-3, 95:1-3 … ইত্যাদি) ?

#প্রশ্ন১১ মুসলিম দের দাবী অনুসারে কুরান যদি মানুষের জন্যে সৃষ্টকর্তার পাঠানো জীবন বিধানই হবে, তবে কেন এতে পুরো একটা সুরা জুড়ে স্থান পাবে Abu Lahab নামক তৎকালিন এক ব্যক্তির প্রতি আল্লাহর আক্রোশ এবং অভিশাপ পূর্ণ বানী (Quran 111:1-5) এটা কি একজন সৃষ্টিকর্তার জন্যে হাস্যকর নয় ?

#প্রশ্ন১২ কুরানের ভাষ্যমতে, এটা যদি আল্লাহ ব্যাতিত অন্য কারো রচিত হত তবে তাতে বৈপরিত্য দেখা যেত (Quran 4:82) ! কিন্তু কুরানে প্রচুর আয়াত খুঁজে পাওয়া যায় যেগুলো একটার সাথে অন্যটা সাঙ্ঘর্ষিক (যেমন Quran 29:46 and 9:29) ! এর মানে কি এই নয় যে কুরান আসলে মুহম্মদেরই রচনা ?

#প্রশ্ন১৩ আল্লাহ কেন Cousin দের মধ্যে বিয়ের অনুমোদন দিয়েছেন (Quran 4:23), এমনকি উৎসাহিত পর্যন্ত করেছেন (মুহম্মদের ক্ষেত্রে, Quran 33:37) ? তিনি কি জানতেন না যে এর ফলে পরবর্তি প্রজন্মে genetic disorder ঘটে থাকে ?
Raj Bhowmick II

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন