এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

বিশেষ ধর্মপ্রচারক তানভীরের ভন্ডামি

ইসলাম প্রচারক Tanvir Ahmed Sharif এর সনাতনধর্ম নিয়ে অপপ্রচারের জবাব।।।।👇👇
--ভগবান শ্রী কৃষ্ণ ও যৌতুক নেয়!
সহস্র স্ত্রী, ও হাজার হাজার হাতি, ঘোড়া,ও যুবতি সেবিকা যৌতুক নেন
---পিতৃ পরিচয় বাদ দিয়ে, স্বামীর নাম হবে।
--শতপথ ব্রাহ্মণ(২/৩/২/৮) “সেই ব্যক্তি ভাগ্যবান যার পশুর সংখ্যা স্ত্রী সংখ্যার চেয়ে বেশী”।🙄
---হিন্দু স্বামী তাকে বিক্রি ( পতিতাবৃত্তি), দান করতে পারবে!
--হিন্দু স্বামী তাকে ত্যাগ করতে পারবে ( তালাক নয়)
--- হিন্দু স্বামী তাকে ত্যাগ করলেও স্ত্রী পুন বিবাহের অধিকার পাবেনা।
---নিয়োগ প্রথা ( দেবর / ভাসুর / পরপুরুষ দ্বারা ছেলে উৎপাদন)!!
---বিধবা হলেও বিবাহের অনুমতি নাই ( নিয়োগ প্রথা বিয়ে নয়, সুধুমাত্র ছেলে সন্তান উৎপাদন এর জন্য)
---সতিদাহ, স্বামীর চিতায় জীবন্ত পুড়ে মরার অধিকার।
--- অপুত্রা পত্নী পরিত্যক্তা। স্বামী ত্যাগ করবে
--------------------------------;-----------------------------------
👉👉"কণ্যাকে বরই বিবাহসময়ে ধন দিবেন এমত নহে, বিবাহের পরেও কি পিতা, কি ভ্রাতা, কি পতি , কি দেবর ইহারা সকলেই যদি অতুল কল্যাণরাশি অভিলাষ করেন তবে কণ্যাকে ভোজনাদি দ্বারা পূজা করবেন ও বস্ত্রালংকার দ্বারা ভূষিতা করবেন। মনুঃ ৩।৫৫"।
সনাতনধর্মে যৌতুক নিষিদ্ধ কিন্তু কনেপক্ষ কর্তৃক কনে ও বরকে উপটৌকন দেওয়া সিদ্ধ।তবে সেই স্ত্রীধন যেন বরপক্ষের আত্মীয় স্বজন ভোগ না করেন এতে নিষেধাজ্ঞা ও আছে।
https://www.agniveerbangla.com/2018/03/blog-post_47.html?m=1
http://www.valmikiramayan.net/utf8/baala/sarga74/bala_74_frame.htm
শ্রীরামচন্দ্রের বিবাহে জনক কোনো যৌতুক দেন নি, বরং কণ্যা কে দান করেছেন।
अथ राजा विदेहानाम् ददौ कन्या धनम् बहु |
गवाम् शत सहस्राणि बहूनि मिथिलेश्वरः || १-७४-३
कंबलानाम् च मुख्यानाम् क्षौमान् कोटि अंबराणि च |
हस्ति अश्व रथ पादातम् दिव्य रूपम् स्वलंकृतम् || १-७४-४
कन्या धनम्=Kanya Dhanam= স্ত্রীধন
दत्त्वा बहु विधम् राजा समनुज्ञाप्य पार्थिवम् || १-७४-६
विधम् राजा=Vidham Datta বিবাহ উপলক্ষে দেওয়া দান।দত্ত শব্দটি দান থেকে ই আসা।1/74/3-4
http://valmikiramayan.net/
ভাগবতে শ্রীকৃষ্ণের বিবাহগুলোর মধ্যে রুক্ষ্মিণী,জাম্ববতী,সত্যভামা,কালিন্দী,মিত্রবৃন্দা,নগ্নজিতা প্রমুখের বিবাহ বর্ণনা আছে।এর মাঝে কেবল সত্যভামার বিবাহে উপটৌকন হিসেবে সামন্তক মণি পাবার কথা আছে।এখানে উল্লেখ্য সত্যভামা ই তার পিতা সত্রাজিতের একমাত্র কণ্যা এবং সত্রাজিত তার ভুলের প্রায়শ্চিত্ত ( শ্রীকৃষ্ণের প্রতি মিথ্যা অভিযোগ আরোপ) ও সামন্তক মণি ফিরিয়ে দেওয়ার পরে প্রতিশ্রুতি হিসেবে দান করেন।
https://www.vedabase.com/en/sb/10/56
আর বাকিদের মাঝে শুধু নগ্নজিতার ক্ষেত্রেই উপটৌকন দান করা হয়েছে।নগ্নজিতার পিতা হলেন একজন রাজা ও কৃষ্ণ স্বয়ম্বর সভা তে তাকে মুগ্ধ করেন বিধায় তিনি তার কণ্যাকে কৃষ্ণের সাথে বিবাহ দেন।
প্রসঙ্গত 10/58 তে মোট পাঁচটি বিবাহের মাঝে একটির ক্ষেত্রে ই উপটৌকনের কথা এসেছে ।।
https://www.vedabase.com/en/sb/10/58
10/56 তে জাম্ববতীকে বিবাহ করা হলেও উপটৌকন আদানপ্রদান নেই।আগ্রহীগণ দেখতে পারেন।
👉👉 নাম পরিবর্তনের দৃষ্টান্ত ঐতিহাসিক গ্রন্থে বিরল। উদাহরণস্বরূপঃজনকের কণ্যা সীতা চিরকাল ই জানকী বলে ই পরিচিত ছিলেন। https://bn.m.wikipedia.org/wiki/সীতা
। গান্ধারের রাজকণ্যা ছিলেন গান্ধারী বলে https://bn.m.wikipedia.org/wiki/গান্ধারী_(চরিত্র)
। রাজা কুন্তিভোজের কণ্যা ছিলেন কুন্তী বলে প্রসিদ্ধ https://bn.m.wikipedia.org/wiki/কুন্তী ।দ্রুপদরাজার কণ্যা দ্রৌপদী, বা তিনি পাঞ্চাল রাজ্যের রাজকণ্যা বলে পাঞ্চালী বলে পরিচিত ছিলেন।মদ্ররাজের কণ্যা মাদ্রী বলে প্রসিদ্ধ ছিলেন। ইহারা কেহ ই বিবাহের পর নাম পরিবর্তন করেছেন এমন দৃষ্টান্ত নেই।
(অথর্ববেদ১৪।২।৭১)
---হে স্বামিন! আমি যেরূপ জ্ঞানী, তুমিও সেইরূপ জ্ঞানী, আমি সামমন্ত্র তুমি ঋকমন্ত্র, আমি দুল্যোক তুমি পৃথিবীলোক।
(অথর্ববেদ ১৪।২।২৬)
---হে বধু! শশুড়ের প্রতি, পতির প্রতি, গৃহের প্রতি এবং এই সব প্রজাদের প্রতি সুখদায়িনী হও, ইহাদের পুষ্টির জন্য মঙ্গল দায়িনী হও।
(অথর্ববেদ ১৪।২।২৭)
--- হে বধু! কল্যাণময়ী, গৃহের শোভাবর্দ্ধনকারী, পতি সেবা পরায়ন, শশুরের শক্তিদায়িনী, শাশুড়ীর আনন্দ দায়িনী, গৃহকার্যে নিপুনা হও।
(অথর্ববেদ ১৪।১।৪০)
--- হে বধু! যেমন বলবান সমুদ্র নদী সমূহের উপর সাম্রাজ্য স্থাপন করিয়াছে, তুমিও তেমন পতিগৃহে গিয়ে সাম্রাজ্ঞী হইয়া থাকো।
(অথর্ববেদ১৪।১।৪৪)
--- শবশুরদের মধ্যে এবং দেবরদের মধ্যে, ননদ ও শাশুড়ীর সঙ্গে মিলিয়া সম্রাজ্ঞী হইয়া থাকো।
(অথর্ববেদ ১৪।২।২৮)
 --- এই বধু মঙ্গলময়ী, সকলে মিলিয়া ইহাকে দেখো, ইহাকে সৌভাগ্য দান করিয়া দূর্ভাগ্য বিদারিত করো।
(অথর্ববেদ১০।৮৫।৪৬)
--- হে স্ত্রী! শশুরের নিকট সম্রাজ্ঞী হও, শাশুড়ীর নিকট সম্রাজ্ঞী হইসলাম প্রচারক Tanvir Ahmed Sharif এর সনাতনধর্ম নিয়ে অপপ্রচারের জবাব।।।।👇👇
--ভগবান শ্রী কৃষ্ণ ও যৌতুক নেয়!
সহস্র স্ত্রী, ও হাজার হাজার হাতি, ঘোড়া,ও যুবতি সেবিকা যৌতুক নেন
---পিতৃ পরিচয় বাদ দিয়ে, স্বামীর নাম হবে।
--শতপথ ব্রাহ্মণ(২/৩/২/৮) “সেই ব্যক্তি ভাগ্যবান যার পশুর সংখ্যা স্ত্রী সংখ্যার চেয়ে বেশী”।🙄
---হিন্দু স্বামী তাকে বিক্রি ( পতিতাবৃত্তি), দান করতে পারবে!
--হিন্দু স্বামী তাকে ত্যাগ করতে পারবে ( তালাক নয়)
--- হিন্দু স্বামী তাকে ত্যাগ করলেও স্ত্রী পুন বিবাহের অধিকার পাবেনা।
---নিয়োগ প্রথা ( দেবর / ভাসুর / পরপুরুষ দ্বারা ছেলে উৎপাদন)!!
---বিধবা হলেও বিবাহের অনুমতি নাই ( নিয়োগ প্রথা বিয়ে নয়, সুধুমাত্র ছেলে সন্তান উৎপাদন এর জন্য)
---সতিদাহ, স্বামীর চিতায় জীবন্ত পুড়ে মরার অধিকার।
--- অপুত্রা পত্নী পরিত্যক্তা। স্বামী ত্যাগ করবে
--------------------------------;-----------------------------------
👉👉"কণ্যাকে বরই বিবাহসময়ে ধন দিবেন এমত নহে, বিবাহের পরেও কি পিতা, কি ভ্রাতা, কি পতি , কি দেবর ইহারা সকলেই যদি অতুল কল্যাণরাশি অভিলাষ করেন তবে কণ্যাকে ভোজনাদি দ্বারা পূজা করবেন ও বস্ত্রালংকার দ্বারা ভূষিতা করবেন। মনুঃ ৩।৫৫"।
সনাতনধর্মে যৌতুক নিষিদ্ধ কিন্তু কনেপক্ষ কর্তৃক কনে ও বরকে উপটৌকন দেওয়া সিদ্ধ।তবে সেই স্ত্রীধন যেন বরপক্ষের আত্মীয় স্বজন ভোগ না করেন এতে নিষেধাজ্ঞা ও আছে।
https://www.agniveerbangla.com/2018/03/blog-post_47.html?m=1
http://www.valmikiramayan.net/utf8/baala/sarga74/bala_74_frame.htm
শ্রীরামচন্দ্রের বিবাহে জনক কোনো যৌতুক দেন নি, বরং কণ্যা কে দান করেছেন।
अथ राजा विदेहानाम् ददौ कन्या धनम् बहु |
गवाम् शत सहस्राणि बहूनि मिथिलेश्वरः || १-७४-३
कंबलानाम् च मुख्यानाम् क्षौमान् कोटि अंबराणि च |
हस्ति अश्व रथ पादातम् दिव्य रूपम् स्वलंकृतम् || १-७४-४
कन्या धनम्=Kanya Dhanam= স্ত্রীধন
दत्त्वा बहु विधम् राजा समनुज्ञाप्य पार्थिवम् || १-७४-६
विधम् राजा=Vidham Datta বিবাহ উপলক্ষে দেওয়া দান।দত্ত শব্দটি দান থেকে ই আসা।1/74/3-4
http://valmikiramayan.net/
ভাগবতে শ্রীকৃষ্ণের বিবাহগুলোর মধ্যে রুক্ষ্মিণী,জাম্ববতী,সত্যভামা,কালিন্দী,মিত্রবৃন্দা,নগ্নজিতা প্রমুখের বিবাহ বর্ণনা আছে।এর মাঝে কেবল সত্যভামার বিবাহে উপটৌকন হিসেবে সামন্তক মণি পাবার কথা আছে।এখানে উল্লেখ্য সত্যভামা ই তার পিতা সত্রাজিতের একমাত্র কণ্যা এবং সত্রাজিত তার ভুলের প্রায়শ্চিত্ত ( শ্রীকৃষ্ণের প্রতি মিথ্যা অভিযোগ আরোপ) ও সামন্তক মণি ফিরিয়ে দেওয়ার পরে প্রতিশ্রুতি হিসেবে দান করেন।
https://www.vedabase.com/en/sb/10/56
আর বাকিদের মাঝে শুধু নগ্নজিতার ক্ষেত্রেই উপটৌকন দান করা হয়েছে।নগ্নজিতার পিতা হলেন একজন রাজা ও কৃষ্ণ স্বয়ম্বর সভা তে তাকে মুগ্ধ করেন বিধায় তিনি তার কণ্যাকে কৃষ্ণের সাথে বিবাহ দেন।
প্রসঙ্গত 10/58 তে মোট পাঁচটি বিবাহের মাঝে একটির ক্ষেত্রে ই উপটৌকনের কথা এসেছে ।।
https://www.vedabase.com/en/sb/10/58
10/56 তে জাম্ববতীকে বিবাহ করা হলেও উপটৌকন আদানপ্রদান নেই।আগ্রহীগণ দেখতে পারেন।
👉👉 নাম পরিবর্তনের দৃষ্টান্ত ঐতিহাসিক গ্রন্থে বিরল। উদাহরণস্বরূপঃজনকের কণ্যা সীতা চিরকাল ই জানকী বলে ই পরিচিত ছিলেন। https://bn.m.wikipedia.org/wiki/সীতা
। গান্ধারের রাজকণ্যা ছিলেন গান্ধারী বলে https://bn.m.wikipedia.org/wiki/গান্ধারী_(চরিত্র)
। রাজা কুন্তিভোজের কণ্যা ছিলেন কুন্তী বলে প্রসিদ্ধ https://bn.m.wikipedia.org/wiki/কুন্তী ।দ্রুপদরাজার কণ্যা দ্রৌপদী, বা তিনি পাঞ্চাল রাজ্যের রাজকণ্যা বলে পাঞ্চালী বলে পরিচিত ছিলেন।মদ্ররাজের কণ্যা মাদ্রী বলে প্রসিদ্ধ ছিলেন। ইহারা কেহ ই বিবাহের পর নাম পরিবর্তন করেছেন এমন দৃষ্টান্ত নেই।
(অথর্ববেদ১৪।২।৭১)
---হে স্বামিন! আমি যেরূপ জ্ঞানী, তুমিও সেইরূপ জ্ঞানী, আমি সামমন্ত্র তুমি ঋকমন্ত্র, আমি দুল্যোক তুমি পৃথিবীলোক।
(অথর্ববেদ ১৪।২।২৬)
---হে বধু! শশুড়ের প্রতি, পতির প্রতি, গৃহের প্রতি এবং এই সব প্রজাদের প্রতি সুখদায়িনী হও, ইহাদের পুষ্টির জন্য মঙ্গল দায়িনী হও।
(অথর্ববেদ ১৪।২।২৭)
--- হে বধু! কল্যাণময়ী, গৃহের শোভাবর্দ্ধনকারী, পতি সেবা পরায়ন, শশুরের শক্তিদায়িনী, শাশুড়ীর আনন্দ দায়িনী, গৃহকার্যে নিপুনা হও।
(অথর্ববেদ ১৪।১।৪০)
--- হে বধু! যেমন বলবান সমুদ্র নদী সমূহের উপর সাম্রাজ্য স্থাপন করিয়াছে, তুমিও তেমন পতিগৃহে গিয়ে সাম্রাজ্ঞী হইয়া থাকো।
(অথর্ববেদ১৪।১।৪৪)
--- শবশুরদের মধ্যে এবং দেবরদের মধ্যে, ননদ ও শাশুড়ীর সঙ্গে মিলিয়া সম্রাজ্ঞী হইয়া থাকো।
(অথর্ববেদ ১৪।২।২৮)
 --- এই বধু মঙ্গলময়ী, সকলে মিলিয়া ইহাকে দেখো, ইহাকে সৌভাগ্য দান করিয়া দূর্ভাগ্য বিদারিত করো।
(অথর্ববেদ১০।৮৫।৪৬)
--- হে স্ত্রী! শশুরের নিকট সম্রাজ্ঞী হও, শাশুড়ীর নিকট সম্রাজ্ঞী হ
ইসলাম প্রচারক Tanvir Ahmed Sharif এর সনাতনধর্ম নিয়ে অপপ্রচারের জবাব।।।।👇👇
--ভগবান শ্রী কৃষ্ণ ও যৌতুক নেয়!
সহস্র স্ত্রী, ও হাজার হাজার হাতি, ঘোড়া,ও যুবতি সেবিকা যৌতুক নেন
---পিতৃ পরিচয় বাদ দিয়ে, স্বামীর নাম হবে।
--শতপথ ব্রাহ্মণ(২/৩/২/৮) “সেই ব্যক্তি ভাগ্যবান যার পশুর সংখ্যা স্ত্রী সংখ্যার চেয়ে বেশী”।🙄
---হিন্দু স্বামী তাকে বিক্রি ( পতিতাবৃত্তি), দান করতে পারবে!
--হিন্দু স্বামী তাকে ত্যাগ করতে পারবে ( তালাক নয়)
--- হিন্দু স্বামী তাকে ত্যাগ করলেও স্ত্রী পুন বিবাহের অধিকার পাবেনা।
---নিয়োগ প্রথা ( দেবর / ভাসুর / পরপুরুষ দ্বারা ছেলে উৎপাদন)!!
---বিধবা হলেও বিবাহের অনুমতি নাই ( নিয়োগ প্রথা বিয়ে নয়, সুধুমাত্র ছেলে সন্তান উৎপাদন এর জন্য)
---সতিদাহ, স্বামীর চিতায় জীবন্ত পুড়ে মরার অধিকার।
--- অপুত্রা পত্নী পরিত্যক্তা। স্বামী ত্যাগ করবে
--------------------------------;-----------------------------------
👉👉"কণ্যাকে বরই বিবাহসময়ে ধন দিবেন এমত নহে, বিবাহের পরেও কি পিতা, কি ভ্রাতা, কি পতি , কি দেবর ইহারা সকলেই যদি অতুল কল্যাণরাশি অভিলাষ করেন তবে কণ্যাকে ভোজনাদি দ্বারা পূজা করবেন ও বস্ত্রালংকার দ্বারা ভূষিতা করবেন। মনুঃ ৩।৫৫"।
সনাতনধর্মে যৌতুক নিষিদ্ধ কিন্তু কনেপক্ষ কর্তৃক কনে ও বরকে উপটৌকন দেওয়া সিদ্ধ।তবে সেই স্ত্রীধন যেন বরপক্ষের আত্মীয় স্বজন ভোগ না করেন এতে নিষেধাজ্ঞা ও আছে।
https://www.agniveerbangla.com/2018/03/blog-post_47.html?m=1
http://www.valmikiramayan.net/utf8/baala/sarga74/bala_74_frame.htm
শ্রীরামচন্দ্রের বিবাহে জনক কোনো যৌতুক দেন নি, বরং কণ্যা কে দান করেছেন।
अथ राजा विदेहानाम् ददौ कन्या धनम् बहु |
गवाम् शत सहस्राणि बहूनि मिथिलेश्वरः || १-७४-३
कंबलानाम् च मुख्यानाम् क्षौमान् कोटि अंबराणि च |
हस्ति अश्व रथ पादातम् दिव्य रूपम् स्वलंकृतम् || १-७४-४
कन्या धनम्=Kanya Dhanam= স্ত্রীধন
दत्त्वा बहु विधम् राजा समनुज्ञाप्य पार्थिवम् || १-७४-६
विधम् राजा=Vidham Datta বিবাহ উপলক্ষে দেওয়া দান।দত্ত শব্দটি দান থেকে ই আসা।1/74/3-4
http://valmikiramayan.net/
ভাগবতে শ্রীকৃষ্ণের বিবাহগুলোর মধ্যে রুক্ষ্মিণী,জাম্ববতী,সত্যভামা,কালিন্দী,মিত্রবৃন্দা,নগ্নজিতা প্রমুখের বিবাহ বর্ণনা আছে।এর মাঝে কেবল সত্যভামার বিবাহে উপটৌকন হিসেবে সামন্তক মণি পাবার কথা আছে।এখানে উল্লেখ্য সত্যভামা ই তার পিতা সত্রাজিতের একমাত্র কণ্যা এবং সত্রাজিত তার ভুলের প্রায়শ্চিত্ত ( শ্রীকৃষ্ণের প্রতি মিথ্যা অভিযোগ আরোপ) ও সামন্তক মণি ফিরিয়ে দেওয়ার পরে প্রতিশ্রুতি হিসেবে দান করেন।
https://www.vedabase.com/en/sb/10/56
আর বাকিদের মাঝে শুধু নগ্নজিতার ক্ষেত্রেই উপটৌকন দান করা হয়েছে।নগ্নজিতার পিতা হলেন একজন রাজা ও কৃষ্ণ স্বয়ম্বর সভা তে তাকে মুগ্ধ করেন বিধায় তিনি তার কণ্যাকে কৃষ্ণের সাথে বিবাহ দেন।
প্রসঙ্গত 10/58 তে মোট পাঁচটি বিবাহের মাঝে একটির ক্ষেত্রে ই উপটৌকনের কথা এসেছে ।।
https://www.vedabase.com/en/sb/10/58
10/56 তে জাম্ববতীকে বিবাহ করা হলেও উপটৌকন আদানপ্রদান নেই।আগ্রহীগণ দেখতে পারেন।
👉👉 নাম পরিবর্তনের দৃষ্টান্ত ঐতিহাসিক গ্রন্থে বিরল। উদাহরণস্বরূপঃজনকের কণ্যা সীতা চিরকাল ই জানকী বলে ই পরিচিত ছিলেন। https://bn.m.wikipedia.org/wiki/সীতা
। গান্ধারের রাজকণ্যা ছিলেন গান্ধারী বলে https://bn.m.wikipedia.org/wiki/গান্ধারী_(চরিত্র)
। রাজা কুন্তিভোজের কণ্যা ছিলেন কুন্তী বলে প্রসিদ্ধ https://bn.m.wikipedia.org/wiki/কুন্তী ।দ্রুপদরাজার কণ্যা দ্রৌপদী, বা তিনি পাঞ্চাল রাজ্যের রাজকণ্যা বলে পাঞ্চালী বলে পরিচিত ছিলেন।মদ্ররাজের কণ্যা মাদ্রী বলে প্রসিদ্ধ ছিলেন। ইহারা কেহ ই বিবাহের পর নাম পরিবর্তন করেছেন এমন দৃষ্টান্ত নেই।
(অথর্ববেদ১৪।২।৭১)
---হে স্বামিন! আমি যেরূপ জ্ঞানী, তুমিও সেইরূপ জ্ঞানী, আমি সামমন্ত্র তুমি ঋকমন্ত্র, আমি দুল্যোক তুমি পৃথিবীলোক।
(অথর্ববেদ ১৪।২।২৬)
---হে বধু! শশুড়ের প্রতি, পতির প্রতি, গৃহের প্রতি এবং এই সব প্রজাদের প্রতি সুখদায়িনী হও, ইহাদের পুষ্টির জন্য মঙ্গল দায়িনী হও।
(অথর্ববেদ ১৪।২।২৭)
--- হে বধু! কল্যাণময়ী, গৃহের শোভাবর্দ্ধনকারী, পতি সেবা পরায়ন, শশুরের শক্তিদায়িনী, শাশুড়ীর আনন্দ দায়িনী, গৃহকার্যে নিপুনা হও।
(অথর্ববেদ ১৪।১।৪০)
--- হে বধু! যেমন বলবান সমুদ্র নদী সমূহের উপর সাম্রাজ্য স্থাপন করিয়াছে, তুমিও তেমন পতিগৃহে গিয়ে সাম্রাজ্ঞী হইয়া থাকো।
(অথর্ববেদ১৪।১।৪৪)
--- শবশুরদের মধ্যে এবং দেবরদের মধ্যে, ননদ ও শাশুড়ীর সঙ্গে মিলিয়া সম্রাজ্ঞী হইয়া থাকো।
(অথর্ববেদ ১৪।২।২৮)
 --- এই বধু মঙ্গলময়ী, সকলে মিলিয়া ইহাকে দেখো, ইহাকে সৌভাগ্য দান করিয়া দূর্ভাগ্য বিদারিত করো।
(অথর্ববেদ১০।৮৫।৪৬)
--- হে স্ত্রী! শশুরের নিকট সম্রাজ্ঞী হও, শাশুড়ীর নিকট সম্রাজ্ঞী হও ননদের নিকট সম্রাজ্ঞী হও এবং দেবরদের নিকট সাম্রাজ্ঞীর অধিকার প্রাপ্ত হও।
(অথর্ববেদ ৩।১২।৮)
--- হে স্ত্রী! অমৃতরসে পরিপূর্ণ এই কুম্ভকে আরো পূর্ণ করিয়া আনো, অমৃতপূর্ণ ঘৃতধারাকে আনো, পিপাসুকে অমৃতরসে তৃপ্ত করো। ইষ্ট কামনার পূর্তি গৃহকে রক্ষা করিবে।
.
আরো কিছু মন্ত্র আমরা দেখবো যেগুলোতে পূত্রের পাশাপাশি কণ্যাকেও প্রার্থনা করা হয়েছে -
(ঋগবেদ ১০।১৫৯।৩)
---- আমার পূত্র শত্রুর নাশকারী এবং নিশ্চয়রূপে আমার কণ্যা বিশিষ্টরূপে তেজস্বীনী।
(ঋগবেদ ৯।৬৭।১০)
---- যেমন যশ এই কণ্যার মধ্যে এবং যেমন যশ সম্যকভৃত রথের মধ্যে ঐরূপ যশ আমার প্রাপ্ত হোক।
(ঋগবেদ ৮।৩১।৮)
---- একসঙ্গে মিলিয়া যজ্ঞ করিলে পতি পত্নি পূত্র এবং কণ্যা কুমারী লাভ হয়। তাহারা পূর্ণ আয়ু ভোগ করেন। এবং উভয়ে নিষ্কলঙ্ক চরিত্রের স্বর্ণভূষনে দীপ্যমান হন।

আবার অথর্ববেদের১ কান্ডের ১৪ সুক্তে একজন পিতার কণ্যা দানের উল্লেখ পাওয়া যায় -
(অথর্ববেদ ১।১৪।২)
--- হে নিয়মকারী বর রাজন! এই কামনাযোগ্য কণ্যা তোমার বধু। সে তোমার মাতা পিতা এবং ভ্রাতার সাথে ঘরে নিয়মপূর্বক অবস্থান করবে।
(অথর্ববেদ ১।১৪।৩)
--- হে বর রাজন এই কণ্যা তোমার কুলের রক্ষাকারী তাহাকে তোমার জন্য আমি আদরের সহিত আমি দান করিতেছি। সে বহু কাল পর্যন্ত তোমার মাতা পিতা আদির মধ্যে নিবাস করবে।

একজন পিতা, ভাই, পতি বা দেবর তাদের কন্যা, বোন, স্ত্রী বা ভ্রাতৃবধুকে মৃদুবাক্য, ভদ্র ব্যবহার ও উপহারাদি দ্বারা খুশি ও সন্তুষ্ট রাখবেন। যারা যথার্থ কল্যাণ ও উন্নতি চান, তারা নিশ্চিত করবেন যে, তাদের পরিবারের নারীরা যাতে সর্বদা খুশী থাকেন এবং কখনো দুর্দশা ভোগ না করেন”। (মনুসংহিতা ৩/৫৫)

যে বংশে ভগিনী ও গৃহস্থের স্ত্রী (নারীকূল) পুরুষদের কৃতকর্মের জন্য দুঃখিনী হয়, সেই বংশ অতি শীঘ্র ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। আর যে বংশে স্ত্রীলোকেরা সন্তুষ্ট থাকে, সেই বংশ নিশ্চিতভাবেই শ্রীবৃদ্ধি লাভ করে”। (মনুসংহিতা ৩/৫৭)

স্ত্রী লোকেরা সন্তানাদি প্রসব ও পালন করে থাকে। তারা নতুন প্রজন্ম বা উত্তরসুরির জন্ম দেয়। তারা গৃহের দীপ্তি বা প্রকাশস্বরূপ। তারা সৌভাগ্য ও আশীর্বাদ বয়ে আনে। তারাই গৃহের শ্রী।” (মনুসংহিতা ৯/২৬)

পতি ও পত্নী মৃত্যু পর্যন্ত একসাথে থাকবেন। তারা অন্য কোন জীবনসঙ্গী গ্রহণ করবেন না বা ব্যাভিচার করবেন না। এই হলো নারী-পুরুষের পরম ধর্ম।” (মনুসংহিতা ৯/১০১

একসঙ্গে থাকা, পরবর্তী প্রজন্ম ধারণ ও নিজ শ্বশুরকুলের জন্য মঙ্গলময়ী বলে বধূ কল্পিত হয়েছেন। তাই বিবাহের পর নতুন পরিবারে বধূ কে যোগ দিতে ও তাদের সাথে আত্মিক সম্পর্ক তৈরি করতে গোত্র পরিবর্তন হয়। তবে নাম পরিবর্তনের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সেটা করা না করা ব্যক্তিগত ইচ্ছা।

👉👉 ভুল রেফারেন্স। এমন কিছু ই নেই। অনুবাদকঃ খৃস্টান জুলিয়াস এগলিং। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস Sacred books of the East. স্কিনশর্ট কমেন্টে(১)

👉👉আচার্য কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র বলছে কোনো আর্য আত্মীয় ই তার অন্য আত্মীয় কে দাস বানাতে পারবে না। ( কেবল মাত্র যেসব শূদ্রজাতীয় লোকেরা জন্মগতভাবে দাসত্ব করে আসছে; (এই দাসত্ববরণ সম্পর্কে নিচে বলা হয়েছে পারিবারিক ঋণ, জরিমানার অর্থ পরিশোধ ইত্যাদি )তাদের পূর্ণবয়স্ক হবার পরে দাস হওয়া টা ব্যতিক্রম )।

অথ গাথা বায়ুগীতাঃ কীর্ত্তয়স্তি পুরাবিদঃ ।
যথা বীজং ন ব্প্তব্যং পুংসা পরপরিগ্রহে।।

পরভার্য্যার বীজ নিক্ষেপ কদাচ করিবে না,এই বিষয়ে অতীতকালজ্ঞ পন্ডিতেরা বায়ুপ্রণীত ছন্দোবিশেষযুক্ত বাক্য পড়িয়াছেন।(মনুসংহিতা ৯:৪২)

এতাবানেব পুরুষো যজ্জায়াত্মা প্রজেতি হ।
বিপ্রাঃ প্রাহুস্তথা চৈতদ্ যো ভর্ত্তা সা স্মৃতাঙ্গনা।।
পুরুষ একলা নহে,ভার্য্যা,আপনি অপত্য এই তিনে মিলিত হইয়া পুরুষ সংজ্ঞা হয়,পুরুষ একাকী অর্ধেক,ভার্ষ্যাসহ সংপূর্ণ হয় কারণ যে ভর্ত্তা সে অঙ্গনা ভিন্ন নহে। ইহার তাৎপর্য্য যাহার স্ত্রী, তদুৎপন্ন সন্তান উহারই, উৎপাদকের নহে।(মনুসংহিতা ৯:৪৫)

ন নিষ্ক্রয়বিসর্গাভ্যাং ভর্ত্তু র্ভায্যা বিমুচ্যতে।
এবং ধর্মাং বিজানীমঃ প্রাক্ প্রজাপ্তিনির্স্মিতম্।।

বিক্রয় বা ত্যাগে পতির ভার্য্যত্ব সন্মন্ধ যায় না,ব্রহ্মা ইহাই কহিয়াছেন।ঐ ধর্ন্ম আমরা অবগত আছি। তাৎপর্য্য- ক্রেতা বা দাতা ক্রয় ও প্রতিগ্রহে আত্মসাৎ করিয়া পরস্ত্রীতে যদি অপত্য উৎপাদন করে তাহা ক্ষত্রীর হইবে,উহাদিগের হইবে না।। ৯:৪৬

মনুস্মৃতির 9/46 মূলত কপটাচারীদের জন্য প্রযোজ্য।আমরা জানি, মহাভারতে দুর্যোধন পাশা খেলার নামে প্রহসন করে পঞ্চপাণ্ডবদের দাস বানায়। তারা যে কূটচাল অবলম্বন করে তা হল আগে যুধিষ্ঠিরকে নিজে কে বাজি ধরে খেলতে বলে যেন যুধিষ্ঠির তাদের ক্রীতদাস হয়।এবার ক্রীতদাস কে দিয়ে তার ভাই ও স্ত্রীকে বাজি ধরিয়ে খেলায়। মনুর 9/46 এ ধরনের ব্যক্তির জন্য সতর্কতা। কেননা এভাবে বিক্রি বা স্বত্বত্যাগ করলে ও স্ত্রীত্ব থেকে ই যাচ্ছে। এই স্ত্রী পরেরজনের কাছে পরস্ত্রীতুল্য। পরস্ত্রীতে বীর্য নিক্ষেপ নিষিদ্ধ (মনু 9/42)। সন্তান উৎপাদন হলে ও তা আগের স্বামীর ই থাকবে (মনু 9/45) ।সুতরাং মনুর আইনের মারপ্যাচে অন্যের স্ত্রীকে কূটকৌশলে হাসিল করলে ও ভোগ অসম্ভব।।স্কিনশর্ট কমেন্টে।।(২)

👉👉বিবাহবিচ্ছেদ ও পুনর্বিবাহ

নষ্ট মৃতে প্রব্রজিতে ক্লীবে চ পতিতে পতৌ।
পচস্বাপতসু নারীরাং পতিরন্যো বিধোযতে।।”
(পরাশর সংহিতা 4/30)
.
অনুবাদ – নারীর যদি স্বামী মারা যায়,
তাঁর স্বামী যদি গোপনে সন্ন্যাস গ্রহণ করে
নিখোঁজ হয়ে যায়, স্বামী যদি নিখোঁজ
হয়ে যায়, স্বামী যদি সন্তান উৎপাদনে
অক্ষম হয়, স্বামী যদি অধার্মিক ও
অত্যাচারী হয় তবে নারী এই স্বামী ছেড়ে
পুনরায় বিবাহ করতে পারে।

তবে কিছু অন্য ক্ষেত্রে এই পুনর্বিবাহ বিধিকে অপব্যবহার করে স্ত্রী নিজ স্বার্থসিদ্ধি করতে পারে জন্য কিছু রেস্ট্রিকশন আছে।।

কোনো নারী যদি অসুস্থ,গরীব কিংবা বোকা হবার অযুহাতে নিজ পতীকে ত্যাগ করে,তবে সে পরজন্মে কুকুর বা শুকর হয়ে জন্ম নেয়।* অসুস্থাবস্থায় পতীর অবশ্যই পত্নীর মানসিক সমর্থন ও সাহায্য দরকার। একইভাবে গরীবের বৌ টাকার লোভে ধনীর সাথে পালানোর ব্যাপারে ও স্পষ্ট নিষেধ আছে। ইসলামে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা নেই বৈকি। কোনো নারী যদি অসুস্থ,গরীব কিংবা বোকা হবার অযুহাতে নিজ পতীকে ত্যাগ করে,তবে সে পরজন্মে কুকুর বা শুকর হয়ে জন্ম নেয়(পরাশর স্মৃতি 4/16)স্কিনশর্ট কমেন্টে(৩,৪)

--->স্বামী স্ত্রীকে ত্যাগ করে অন্য দেশে গেলে স্ত্রী পাঁচ বছর অপেক্ষা করবে।তারপর সে চাইলে অন্য দেশে স্বামীর কাছে যেতে পারে। কিন্তু স্ত্রী যেতে না চাইলে স্বামীকে মৃত হিসেবে ধরে আচরণ চালিয়ে যাবে। এমত, ব্রাহ্মণী সন্তান থাকলে পাঁচ বছর,ক্ষত্রিয়া চার বছর, বৈশ্যা তিন বছর,শূদ্রা দুবছর ও সন্তান না থাকলে যথাক্রমে চার তিন দুই ও এক বছর অপেক্ষা করবে। এরপর সে চাইলে নিম্নোক্ত ব্যক্তিদের কাছে যেতে পারে। তার স্বামীর সমান সম্পত্তির সমান উত্তরাধিকারী(সহোদর), ভাই সম্পর্কিত,একই বংশের সপিণ্ড, দূর বংশের, এক ই গোত্রের (প্রধান গোত্র মোট দশটির মতো)।সে আগে থেকে নিচের ক্রমে যাবে। যদি আগে ই অন্য কেউ যোগ্য থাকে,তবে সে যেন অজানা আগন্তুকের কাছে না যায়।(বশিষ্ট ধর্মসূত্র 17/75-80)স্কিনশর্ট কমেন্ট (৫)
নিয়োগঃ উত্তরাধিকারবিহীন দম্পতির সন্তানলাভের সম্ভাবনার জন্য নিয়োগ প্রথার অস্তিত্ব শাস্ত্রবিহিত যা আধুনিক স্পার্ম ডোনেটিং এর সমতুল্য।কিন্তু নিয়োগ প্রথা ব্যভিচার না, আর এর যথেচ্ছ ব্যবহার ও নিষিদ্ধ। তাই নিয়োগের অপব্যবহার রোধে অনেক বিধিবিধান আরোপ করা হয়েছে।

১)একজন নারী এই প্রথা অনুসরন করবে শুধুমাত্র সন্তান উৎপাদনের জন্য, যৌন আনন্দ লাভের জন্য নয় ৷
২) নিয়োগকৃত পুরুষ এই কাজটি করবেন ধর্মের জন্য, নারীকে সন্তান উৎপাদনে সাহায্যের জন্য, যৌন আনন্দ লাভের জন্য নয়।
৩) এই উপায়ে জন্মগ্রহনকৃত সন্তান স্বামী স্ত্রীর সন্তানরূপে বিবেচিত হবে, নিয়োগকৃত পুরুষের সন্তানরূপে বিবেচিত হবে না।
৪) ভবিষ্যতে নিয়োগকৃত পুরুষ সন্তানের পিতৃত্ব দাবী করতে পারবে না ৷
৫) অপব্যবহার রোধের জন্য একজন পুরুষ তার সারা জীবনে ৩ বার নিয়োগকৃত হতে পারবে ৷
৬) এই কাজকে ধর্ম হিসেবে দেখা হবে যাতে নারী, পুরুষের মনে এই ব্যাপারে কোন আকাঙ্খা বা লোভ জন্ম না নেয়, একজন পুরুষ এই কাজটি নারীকে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে করবে আর নারী এই কাজটি করবে তার ও তার স্বামীর জন্য সন্তান লাভের উদ্দেশ্যে।
৭) এই প্রথায় কোনো শৃঙ্গার হবে না, কোনোরূপ যৌন ক্রিয়া হবে না, শুধুমাত্র লিঙ্গ প্রবেশ ছাড়া।
৮) সেখানে একটা অর্ধস্বচ্ছ আচ্ছাদন থাকবে যা দিয়ে নারীরর উর্দ্ধাঙ্গ ঢেকে দেয়া হবে এবং নিয়োগকৃত পুরুষ শুধুমাত্র নারীর নিম্নাঙ্গ দেখার অনুমতি লাভ করবে যাতে সে শুধুমাত্র নিয়োগ কর্ম সমাধা করতে পারে ৷
 ৯) তাদের শরীর ঘৃতাক্ত করে নিতে হবে ৷


👉পণ্ডিত ম্যাক্স মুলারের মতে বৈদিক যুগে বিধবাবিবাহ ছিল।এবং যে মন্ত্রের রেফারেন্স দিয়ে তৎকালীন সমাজে সতীদাহ প্রচলিত ছিল সেটি নিতান্ত ই নিরীহ একটি মন্ত্র ও তাতে তেমন কিছু নেই। ভণ্ডদের দ্বারা ইচ্ছাকৃত শব্দের অর্থ বিকৃতি ঘটায় সতীদাহ চলে এসেছে/ সতীদাহ কে সমর্থন করতে ইচ্ছাকৃত বিকৃতি ঘটিয়েছে। যদিও সতীদাহ শুরুর কারণ টা ছিল বিদেশীদের হাত থেকে পরাজিত স্ত্রীলোক কে রক্ষা হেতু। স্কিনশর্ট কমেন্টে।(৬,৭)

👉👉ভুল রেফারেন্স,ওখানে মন্ত্র আছে দশটা। তানভীর তেরো নম্বর মন্ত্র হয়তো স্বপ্নে জিবরাইল বলে গেছেন।
স্কিনশর্ট কমেন্ট।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন